আজ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সকাল ০৯.০০ টায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ডের মন্টুর কলোনী সংলগ্ন পুকুরপাড়ে ‘এলাকাবাসীর উদ্যোগে জলাশয় সংরক্ষণ কর্মসূচি’ শীর্ষক জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি থেকে বক্তারা এ কথা বলেন। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সহকারি প্রকল্প কর্মকতা রাকিবুল হাসানের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির দলনেতা রনি আহমেদ, এলাকাবাসীর প্রতিনিধি মোঃ হেলাল, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা মো: ইমরান মিয়াসহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ছাড়াও অগ্নিকান্ডের সময় পানির সংস্থানে পুকুর-দিঘীর মতো জলাশয়ের ভূমিকা অনন্য। ভূগর্ভে পানি প্রবেশের প্রাকৃতিক পথ পুকুর। ফলে বৃষ্টির সময় বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কামুক্ত থাকে ও ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়। জলাশয় কমে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে। সাম্প্রতিক বন্যা থেকে তা আমরা বুঝতে পেরেছি। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এ জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাটের বিষয়ে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আইন ভঙ্গ হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। খুলনা শহরের সকল জলাশয়, দীঘি, পুকুর চিহ্নিত করে সেগুলো রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। যে জলাধারগুলো দখল হয়ে গেছে সেগুলোও পুনরুদ্ধারের দাবি জানাই।
বক্তারা আরো বলেন, এলাকাবাসী হিসেবে পুকুরগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু আমরা নিজেরাই বিভিন্ন রকমের আবর্জনা ফেলে সেগুলো ভরাট করে ফেলছি। ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বর্তমানে শহরের বেশিরভাগ বাচ্চারা সাঁতার জানে না যার ফলে বিভিন্ন সময় দূর্ঘটনা ঘটে। সেজন্য পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন যাতে সাঁতার শেখার জন্য উপযোগী হয়।
কর্মসূচি থেকে এলাকাবাসী মন্টুর কলোনী সংলগ্ন পুকুরসহ যেকোন জলাশয়ে আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকা, পুকুরের সাথে ড্রেনের লাইন এক না করা, প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার সীমিত করা, এবং জলাশয় রক্ষায় সোচ্চার হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সেই সাথে মন্টুর কলোনী সংলগ্ন পুকুর পাড়ে আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকার জন্য একটি সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন ও নিয়মিত তদারকির সিদ্ধান্ত হয়।