• 04 May, 2024

মায়ানমার নাগরিকসহ ইয়াবা নিয়ে আটক ৫

মায়ানমার নাগরিকসহ ইয়াবা নিয়ে আটক ৫

রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ৪১ হাজার পিস ইয়াবাসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে একজন মায়ানমার নাগরিক।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) তেজগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উত্তরের কার্যলয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের এসব কথা জানায় সংস্থাটি।

সংবাদ সম্মেলনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মুজিবুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, মাদক বহন করার সঙ্গে জড়িতরা নতুন নতুন রুট তৈরি করছে। এই নতুন রুট দিয়েই তারা রাজধানীতে ইয়াবা নিয়ে আসে। সেই ইয়াবা দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয়। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে এই ইয়াবা পাচার করা হয়।

তিনি বলেন, আটককৃতদের মধ্যে দুইজন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন মায়ানমারের বাস্তুচ্যুত বাংলাদেশের আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নারীও রয়েছে। টাকার বিনিময়ে এই নারী রোহীঙ্গা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় এসেছে।

আটককৃতরা হলেন- সাধন তনচংগ্যা (২৫), ফাতেমা (৩৫), মোছা. মমিনা বেগম (২০), ইয়াকুব আলী (৪০), নাঈম (২৪)। এই পাঁচ জনকে আলাদা তিনটি অভিযানে গ্রেফতার করা হয়।

ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মুজিবুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, মমিনা মায়ানমারের নাগরিক ও ফাতেমা বাংলাদেশের নাগরিক। এই দুইজন কক্সবাজার থেকে ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় আসছিলেন লঞ্চে করে। তারা চাঁদপুর হয়ে সদরঘাট দিয়ে ঢাকায় আসছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের সদরঘাট থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।

রাজধানীর গাবতলী দিয়ে বিশাল অংকের মাদক উত্তরবঙ্গে যাবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে চায়ের দোকনি সেজে গাবতলীতে অবস্থান নেয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সাধন তনচংগ্যাকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ১১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। মহিলাদের পেটিকোটের মধ্যে বিশেষ কায়দায় ইয়াবাগুলো লুকানো ছিলো।

এই কর্মকর্তা জানান, মূলত এই ইয়াবা যাচ্ছিলো উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও এবং রংপুরের দিকে। সেখানে এই ইয়াবা পৌঁছে দেয়াই তনচংগ্যায়ের কাজ। তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহীনির চোখ ফাঁকি দিতে রাঙ্গামাটি দিয়ে ইয়াবা ঢাকায় নিয়ে আসতেন। তারপর উত্তরবঙ্গে পাঠাতেন অন্যা লোকের মাধ্যমে।

আরেকটি ঘটনা ছিলো পুরোপুরি ট্রাভেলের কায়দায়। আটক ইয়াকুব আলী মোটরসাইকেলে বিভিন্ন জেলা ট্রাভেল করে এমন একটি বেশভুশা ধরে চলাফেরা করতেন। তিনি কক্সবাজার থেকে ইয়াবা নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে তা ছড়িয়ে দিতেন।

অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, প্রথমে ইয়াকুবকে আটকের পর অস্বিকার করেন। এরপর জানা যায় তার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে। সে একজন পেশাদার ইয়াবা বিক্রেতরা। তিনি ইয়াবা এনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এগুলো বিক্রি করতেন।

এই কর্মকর্তা বলেন,আমরা আটককৃতদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করবো। রিমান্ডে এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবো। এদের পেছনে যারা আছে তাদের খুজেঁ বের করতে পারলে আশা করি ইয়াবার চালানের মূল যারা তাদের খুজেঁ বের করা যাবে।

এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, রহিঙ্গারা আমাদের জন্য মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। তারা ইয়াবা বিক্রির সঙ্গে জড়িয়ে পরছে। ক্যাম্প থেকে বের হয়ে আসছে। এদের ধরা কঠিন। কারণ তারা বিভিন্ন ছলচাতুরির প্রশ্রয় নিয়ে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে ইয়াবা চালান দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয়।