গত বুধবার দুপুরে বন্দরের দেওয়ানবাগ এলাকার সার্ভেয়ার জাকির হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া আবুল হোসেন (৭০) মারা যান। বৃদ্ধের মরদেহ দাফনের জন্য নাসিক ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে মুরাদপুর-দেওয়ানবাগ এলাকার যৌথ কবরস্থানে নিলে কবরস্থান কমিটির সদস্য মোতালেব হাজি ২ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় উভয় পক্ষের দরকষাকাষির পর ১ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে লাশ দাফন করতে দেওয়া হয়। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে জাকির হোসেন বলেন, ‘মৃত ব্যক্তি এতই দরিদ্র তার দাফন কাফনের জন্য মানুষের কাছ থেকে হাত পেতে টাকা নিতে হয়েছে। আর সেই টাকা থেকে চাঁদা দিতে হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কবরস্থান কমিটির সভাপতি ফোন করে টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য বলেছেন। আমি এখনো যাইনি।’ এ ব্যাপারে দেওয়ানবাগ এলাকার মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘কবরস্থানের উন্নয়নের নামে ভাড়াটিয়ার লাশ দাফনের জন্য ২ জাহার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছে। পরে ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেছি।’
এ ব্যাপারে করবস্থান কমিটির সভাপতি শেখ আলমগীর বলেন,‘লাশ দাফনের জন্য কোনো টাকা লাগে না। আমরা এ ধরনের কোনো নিয়ম করিনি। কবর দেওয়ার সময় টাকা দাবি ফেরাউনের কাজ। যিনি টাকা নিয়েছেন তিনি ভুল করেছেন। আমি টাকা ফেরত দিতে বলে দিয়েছি।’ এ ব্যাপারে চাঁদা গ্রহণকারী মোতালেব হাজি বলেন, ‘আমরা নিজেরা নিয়ম করেছিলাম লাশ দাফনের জন্য ভাড়াটিয়া হলে ২ হাজার আর স্থানীয় হলে ১ হাজার টাকা চাঁদা কবরস্থান উন্নয়নের জন্য নেব। তবে বিষয়টি সঠিক নয় এ কাজটা আমার ভুল হয়েছে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সভাপতিকে বলেছি। এমন ভুল আর হবে না।’