• 10 Dec, 2024

কিবলা নির্ধারণ নিয়ে সন্দেহ হলে যা করবেন

কিবলা নির্ধারণ নিয়ে সন্দেহ হলে যা করবেন

কিবলার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করা ফরজ। নামাজ শুরুর আগে কিবলার দিকে ফিরে তাকাতে হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আকাশের দিকে বার বার তোমার মুখ ফিরানো আমি অবশ্যই দেখছি।

 অতএব আমি অবশ্যই তোমাকে এমন কিবলার দিকে ফিরাব, যা তুমি পছন্দ কর। সুতরাং তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক, তার দিকেই তোমাদের চেহারা ফিরাও। আর নিশ্চয় যারা কিতাবপ্রাপ্ত হয়েছে, তারা অবশ্যই জানে যে, তা তাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য এবং তারা যা করে, সে ব্যাপারে আল্লাহ গাফিল নন।’ ( সূরা বাকারা, আয়াত, ১৪৪) 

সারা বিশ্বে অবস্থানকারী মুসলমানদের জন্য কেবলা হলো পবিত্র কাবা শরিফ। যারা কাবা শরিফের পশ্চিমে অবস্থানকারী তাদের জন্য কেবলা পূর্ব দিক। যারা কাবা শরিফের পূর্বে অবস্থান করে তাদের জন্য কেবলা পশ্চিম দিক। আবার যারা কাবা শরিফের দক্ষিণে অবস্থান করে তাদের জন্য কেবলা উত্তর দিক। আর যারা কাবা শরিফের উত্তরে অবস্থান করে তাদের কেবলা দক্ষিণ দিক।

মূল কথা কথা হলো- যে যেখানেই অবস্থান করুক না কেন, বাইতুল্লাহ তথা কাবা শরিফ-ই মুসলিম উম্মাহর কেবলা। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার লোকদের জন্য কেবলা হলো পশ্চিম দিক।

কোনো নতুন জায়গায় গিয়ে নামাজ পড়ার জন্য প্রথমে কেবলা নির্ণয় করে নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে সে এলাকার মসজিদের মিম্বর, কেবলার চিহ্ন, সূর্যের গতিপথ দেখে বা কাউকে জিজ্ঞাসা করে অথবা পারিপার্শ্বিক সবকিছু বিবেচনা (তাহাররি) করে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া। এভাবে নামাজ পড়লে নামাজ আদায় হয়ে যাবে। কোনো ব্যতিক্রম হিসেবে যদি ভুলও প্রমাণিত হয় তবু কেবলা নির্ণয়ের চেষ্টা করে নামাজ পড়ার কারণে নামাজ আদায় হয়ে যাবে। দ্বিতীয়বার সেই নামাজ পড়তে হবে না। 

তবে যদি কেবলা নির্ণয়ের প্রচলিত পদ্ধতির কোনো একটাও অবলম্বন না করে অনুমানের ভিত্তিতে কেবলা ধরে এক দিকে ফিরে নামাজ পড়া হয়, আর পরে প্রমাণিত হয় তা কেবলার দিক ছিল না, তা হলে নামাজ পুনরায় পড়তে হবে। 

বর্তমানে মোবাইলে, চাবিতে, ট্রলি ব্যাগে বা নানা উপকরণে কম্পাস থাকে তা দিয়ে কেবলা নির্ণয় করা যায়। যদি তা ত্রুটিমুক্ত হয় এবং ইতিপূর্বে সঠিকভাবে কেবলা দেখিয়ে থাকে, তা হলে প্রয়োজনীয় সময়ে কেবলা নির্ণয়ের জন্য তা ব্যবহার করা যেতে পারে। 

কেবলা নির্ণয়ের চেষ্টা করে নামাজ পড়ার পর কোনো কারণে কেবলা ভুল প্রমাণিত হলে ওয়াক্তের মধ্যেই জানা গেলে নামাজ পুনরায় পড়ে নেওয়াই উত্তম। তবে ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে নামাজ আদায় হয়ে গেছে বলে গণ্য হবে। দ্বিতীয়বার আর পড়তে হবে না।