‘ধান চাষ করে পেতাম ৩ হাজার টাকা, ড্রাগন চাষে আসে ২ লাখ’
প্রায় পাঁচ দশক ধরে কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত নোয়াখালীর সুবর্ণচরের কৃষক আমিন উল্যাহ। ধান চাষ করে যে জমিতে বছরে পেতেন তিন হাজার টাকা ড্রাগন চাষ করে সেই জমিতে পান দুই লাখ টাকা।
হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির ঘটনায় বিভিন্ন মহলে নানা প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।
হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির ঘটনায় বিভিন্ন মহলে নানা প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্দ্ধগতির বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে পরিবহন মালিক, শ্রমিক, মোটর সাইকেল চালক, কৃষকসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষের মানে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।অতিরিক্ত মূল্য কমিয়ে পুনরায় সহনীয় পর্যায়ে তেলের মূল্য বাড়ানোর দাবি করেছেন।অযৌক্তিভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে দেশের প্রতিটি খাতেই প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
জানা গেছে, নড়াইল জেলায় ১২টি জ্বালানি তেলের পাম্প রয়েছে।এসব তেলের পাম্পের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৬৫ হাজার লিটার ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি হয়ে থাকে।এর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৪৮ হাজার লিটার ডিজেল, ৮হাজার লিটার অকটেন ও ৯ হাজার লিটার পেট্রোল বিক্রি হয়ে থাকে।
শনিবার দুপুরে নড়াইল শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায় পান্না পেট্রোলিয়ামে গিয়ে কথা হয় জ্বালানি তেল নিতে আসা বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে।
নড়াইল শহরের ওষুধ ব্যবসায়ী মোটর সাইকেল মালিক হেফজুর রহমান খুশবু বলেন, সরকার অযৌক্তিভাবে তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে। আমাদের মতো নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য মরার ওপর খাড়ার ঘা পড়ার মতো অবস্থা।প্রতি লিটার পেট্রোল ৮৬ টাকার পরিবর্তে এখন ১৩০ টাকা করে ক্রয় করতে হচ্ছে।অকটেন প্রতি লিটার ৮৯ টাকার পরিবর্তে ১৩৫ টাকা করে কিনতে হচ্ছে।আমাদের জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
মাইক্রো বাস চালক শরাফত হোসেন বলেন, ‘আমাদের এখন ভাড়ায় গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে গেলো।যেভাবে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে, তাতে ভাড়া বেশি চাইলে আমাদের মারতে চলে আসবে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিবেদন যেন, জ্বালানী তেলের মূল্য পুনঃনির্ধারণ করে আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখা হয়।
যাত্রীবাহী বাসের কয়েকজন চালক জানান, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বাসভাড়া বাড়ানো হবে।তবে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশ আসলে সেই মোতাবেক ভাড়া বাড়বে। তবে আপাতত আগের ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
এদিকে ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে কৃষকেরা চরম হতাশা প্রকাশ করেছে।এক সপ্তাহ আগে ইউরিয়া সারের দাম প্রতি কেজিতে ৬ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।হঠাৎ করে ডিজেলের দাম বাড়ানোর কারণে কৃষি কাজ করে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের ফেদী গ্রামের কৃষক রেজাউল মল্লিক বলেন, ‘আমরা সামান্য জমি চাষ করে যে ধান উৎপাদন করি তা দিয়ে সারা বছরের ভাত হয় না। মাঝে মধ্যে কিনে খেতে হয়।সার, কীটনাশক, তেলসহ আনুসাঙ্গিক খরচ হিসেব করলে আমাদের কোন লাভ হয় না।হঠাৎ করে তেলের দাম বাড়ানোর কারণে আমাদের সেচ দিয়ে ধান রোপন করে কোন লাভ হবে না।তাছাড়া জমি চাষের জন্য পাওয়ার টিলারের মালিককেও অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে।
লোহাগড়া উপজেলার বাড়ীভাঙ্গা গ্রামের কৃষক হামিদ মোল্যা বলেন,‘আমরা স্যালো মেশিন দিয়ে আমন ধানে সেচ দিয়ে থাকি। জমির মালিকদের কাছ থেকে খরচ বাবদ যে টাকা নেয়া হতো।ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে এখন অতিরিক্ত টাকা নিতে হবে। এতে কৃষকদের উৎপাদন খরচ আরো বেড়ে যাবে।
সদর উপজেলার বগুড়া গ্রামের কৃষক নেতা সোহেল জানান, সার, তেলের দাম বাড়ানোর কারনে কৃষকের উৎপাদনখরচ বাড়বে। তাই কৃষকের উৎপাদিত ফসলের দাম বাড়াতে হবে। নইলে কৃষক বাঁচবে না।আর ফসলের দাম বাড়ানোর কারনে উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত পর্যায়ের সকলেরই ব্যয় বেড়ে যাবে।
নড়াইল শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায় পান্না পেট্রোলিয়ামের স্বত্ত্বাধিকারী পলি রহমান বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির খবরে শুক্রবার রাতে অসংখ্য মোটর সাইকেল পূর্ব নির্ধারিত মূল্যে তেল সংগ্রহ করছে।শুক্রবার দিনগত রাত ১২টার পর থেকে সরকারী নির্ধারিত নতুন মূল্যে তেল বিক্রি শুরু করেছি।দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষ হতাশা প্রকাশ করছে।তবে বিশ্ব বাজারে তেলের মূল্য স্বাভাবিক হয়ে আসলে সরকার হয়তো আবারও তেলের মূল্য কমিয়ে নিয়ে আসবে।তেলের দর স্বাভাবিক হয়ে আসলে সাধারণ মানুষের মাঝে আবারও স্বস্তি ফিরে আসবে।
প্রায় পাঁচ দশক ধরে কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত নোয়াখালীর সুবর্ণচরের কৃষক আমিন উল্যাহ। ধান চাষ করে যে জমিতে বছরে পেতেন তিন হাজার টাকা ড্রাগন চাষ করে সেই জমিতে পান দুই লাখ টাকা।
গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা এলাকার ইউনি ম্যাক্স টেক্সটাইল কারখানার গুদামে সোমবার (২ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
‘আমেরিকা ও তার এদেশিয় দালালদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোল, জমাবিহীন পেনশনের দাবীর লড়াই জোরদার করো, কৃষক খেতমজুর সহ সকল শ্রমজীবীদের ন্যায্য দাবী মানতে হবে’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নড়াইল-মাগুরার আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।