ওপেন এআই কিন্তু কার্যত এ নিয়ে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। বলে দিচ্ছে, চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে ছাত্রছাত্রীরা হোমওয়ার্ক করলে, ধরতেই পারবেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আসলে এআই যে সমস্ত কনটেন্ট তৈরি করছে, তা সাধারণভাবে দেখে বোঝার উপায় নেই যে তা কৃ্ত্রিম বুদ্ধিমত্তার কেরামতি নাকি কোনো ব্যক্তি বিশেষের কাজ।
এবার বলতে পারেন, একটি কনটেন্ট দেখিয়ে চ্যাট জিপিটিকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় সেটি এআই তৈরি করেছে কি না, তাহলে ব়্যানডম উত্তর দিচ্ছে এই চ্যাটবট। অর্থাৎ সবসময় যে তা ঠিকঠাক উত্তর দিচ্ছে, এমন কোনো মানে নেই। আর সে কারণেই শিক্ষকদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় যে হোমওয়ার্কটি মানুষের করা না কি এআইয়ের।
ওপেন এআই সংস্থার দাবি, যেসব শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় ভাষা ইংরাজি, কিংবা নতুন ধরনের ইংরাজি কনটেন্ট লেখার চেষ্টা করছে, তারাই সাধারণত চ্যাট জিপিটির সাহায্য নিচ্ছে। এআইয়ের সাহায্য নিয়ে প্রাথমিক কাজটা করে নিয়ে তাতে একটু আধটু বদল করে দেওয়ার ফলে বিষয়টা যে প্রযুক্তি নির্ভর, তা আরওই বুঝতে পারছেন না শিক্ষকরা। তাই এ প্রবণতা রুখতে হোমওয়ার্কের ক্ষেত্রে কী বদল আনা যেতে পারে, সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ শিক্ষকদের।