• 04 May, 2024

গর্ভের সন্তান নড়ছে না, নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত গৃহবধূ

গর্ভের সন্তান নড়ছে না, নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত গৃহবধূ

স্বামী ও সন্তানের খোঁজে স্বামীর বাড়িতে এসে ইউপি সদস্যের হাতে মারধরের শিকার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ তাঁর গর্ভের সন্তান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

গর্ভের সন্তান নড়াচড়া না করায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার বিকেলে তাঁকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাঐসোনা ইউনিয়নের উত্তর ডুমুরিয়া গ্রামে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর নাম শান্তা আক্তার (৩৪)। তিনি ডুমুরিয়া গ্রামের সাফায়েত মোল্যার স্ত্রী এবং যশোর সদরের পিয়ারী মোহন রোডের মৃত কুদ্দুস আলীর মেয়ে। এ ঘটনায় কালিয়ার নড়াগাতি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

গৃহবধূ শান্তার অভিযোগ, তাঁকে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ায় অজ্ঞাতপরিচয়ের লোকজন মোবাইল ফোনে তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। তিনি এখন অনাগত সন্তানের প্রাণ ছাড়াও নিজের জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঘটনার তিন দিনেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার না করাতেও ক্ষুব্ধ তিনি। 

 

থানায় করা লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শান্তার ৯ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন। গত ৩১ ডিসেম্বর ছয় বছরের ছেলেকে নিয়ে গোপনে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন তাঁর স্বামী। শান্তা বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি স্বামী ও সন্তানের খোঁজ নিতে গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ডুমুরিয়া গ্রামে আসেন। তখন স্বামী ও তাঁর স্বজনের সহযোগিতায় ইউপি সদস্য রাসেল শেখ তাঁর বুক ও পেটে আঘাত করেন এবং টেনেহিঁচড়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বের করে দেন। রাসেল শেখ বাঐসোনা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং উত্তর ডুমুরিয়া গ্রামের হেমায়েত শেখের ছেলে।

শান্তা বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর মা বকুল বেগমই (৭০) তাঁর একমাত্র অবলম্বন। ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি ঠিকমতো চোখে দেখতে পান না। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে কালিয়া থেকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ের লোকজন মোবাইল ফোনে তাঁর অবস্থান জানতে চেয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে নড়াগাতি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালিয়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পার্থ জানিয়েছেন, পেটে আঘাতের কারণে গৃহবধূর সামান্য রক্তক্ষরণ হয়েছে। গর্ভের সন্তান নড়াচড়া না করায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার বিকেলে তাঁকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।