বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৫ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার।
এ সময় জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম ও স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার ইমদাদ হোসেন বিপুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আটকরা হলেন- সাব্বির হোসেন (৩০) ও রতন মণ্ডল (৩২)। সাব্বির জয়পুরহাট জেলা শহরের চিত্রাপাড়া এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে ও রতন একই এলাকার মৃত খলিল মণ্ডলের ছেলে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, র্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে জেলা শহরের চিত্রাপাড়া এলাকার তামিম ছাত্রাবাস নামের একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ওই ছাত্রাবাসের একটি তালাবদ্ধ রুমে খুলে ১৫০ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। এই মাদক সরবরাহের সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, আটক দুইজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- তারা এসব গাঁজা বিভিন্ন এলাকা হতে সংগ্রহ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রেখেছেন। তারা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন যাবৎ এসব গাঁজা সংগ্রহ করে জয়পুরহাট, নওগাঁ ও দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুদ্র মাদক ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করে আসছে। এ ঘটনায় জয়পুরহাট থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
তামিম ছাত্রাবাসের মালিক অ্যাডভোকেট গোলাম ছারোয়ার বকুল। গাঁজা পাওয়া রুমটি প্রধান দরজা থেকে শেষ প্রান্তে ছিল। আজ দুপুর দেড়টায় ওই ছাত্রাবাসের সামনে গিয়ে ছাত্রাবাসের মালিককে পাওয়া যায়। এ সময় ছাত্রাবাসে থাকা ভাড়াটিয়াদের বেডিং গুছিয়ে নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত গোলাম ছারোয়ার বকুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০ মতো ছেলে ছাত্রাবাসে ভাড়া ছিল। তারা ছাত্রাবাস ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। ওই রুম শুভ নামে একজন ভাড়া নিয়েছিল। তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আর যারা আটক হয়েছে তারা এই ছাত্রাবাসের কেউ না। এখানে এসব মাদক কীভাবে এসেছে তা তার জানা নেই।