মনিকা একাডেমির আয়োজনে শুক্রবার বিকেলে শহরের ভওয়াখালী দেবদারতলা এলাকায় একাডেমি কার্যালয়ে ‘নড়াইলের লালমিয়া’ শীষর্ক চিত্রাঙ্কন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দুটি শাখায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।বিজয়ী সাতশিশুসহ সব অংশগ্রহণকারীকেই উৎসাহমূলক পুরস্কার দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-মনিকা একাডেমির পরিচালক সবুজ সুলতান, একাডেমির অভিভাবক সদস্য আলমগীর হোসেন, নড়াইল চিলড্রেন ভয়েস স্কুলের শিক্ষিকা পলি খানম, বিদিশা রায় ও একাডেমির আবৃত্তি বিভাগের জুনিয়র প্রশিক্ষক সোনিয়া পারভীনসহ অনেকে।
মনিকা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সবুজ সুলতান বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে সুলতানের জীবনাদর্শ তুলে ধরতে এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।প্রিয় জন্মভূমি নড়াইলের কুড়িগ্রাম এলাকায় সংগ্রহশালা চত্বরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন সুলতান।চিত্রশিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে এস এম সুলতান ১৯৮২ সালে পেয়েছেন একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৮৪ সালে রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননাসহ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কার পেয়েছেন।এদিকে, ২০০১ সাল থেকে সুলতান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একজন গুণী চিত্রশিল্পীকে সুলতান পদক দেওয়া হচ্ছে।