প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই নড়াইলের ইছামতী বিলে। বরং একসময়ের প্রবহমান বিল এখন কচুরিপানা আর আবর্জনায় ভরা।
স্থানীয়রা জানান, লোহাগড়ার নলদি, লাহুড়িয়া, নোয়াগ্রাম, কাশিপুর ইউনিয়ন এবং মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার নহাঁটা ইউনিয়ন পর্যন্ত ইছামতী বিস্তৃত।কয়েক বছর আগেও বিলের পাশের জমিতে ধান ও পাটের ব্যাপক চাষাবাদ হতো।তবে প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্যে মরতে বসেছে ইছামতী বিল।ক্রমান্বয়ে দখল আর দূষণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।এতে আশপাশের জমি চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তায় শত শত কৃষক।
জলাবদ্ধতার ফলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার চরম অবনতি হয়েছে দাবি করে নলদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ পাখি বলেন, ‘জলাবদ্ধতার কবলে বিল ইছামতীর আড়াই থেকে তিন হাজার একর জমি অনাবাদি পড়ে আছে। সংকট সমাধানে হারিয়ে যাওয়া খাল-নালা উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি।’
সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দ্রুতই জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রস্তাবিত দুটি স্লুইস গেট বাস্তবায়নসহ খাল-নালা উদ্ধারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’