• 25 May, 2025

জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে সঙ্গীদের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জোরালো বার্তা: ‘ডিসেম্বরই শেষ সময়’

জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে সঙ্গীদের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জোরালো বার্তা: ‘ডিসেম্বরই শেষ সময়’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন এবং নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আলোচনা জোরদার করছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে বসছে দলটি।

আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বিএনপির লিয়াঁজো কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান। পরে সন্ধ্যা ৭টায় তিনি আলোচনা করবেন এলডিপির সঙ্গে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, লিয়াঁজো কমিটির পক্ষ থেকে এই দুই ধাপের বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও যুগপৎ আন্দোলনের কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে।

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি জানায়, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। তবে সরকার জানায়, নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে হতে পারে। এই অবস্থানে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিএনপি।

বিএনপি সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আসন্ন বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর চিন্তাভাবনা জানতে চাবে বিএনপি, সেইসঙ্গে নিজেদের অবস্থানও তুলে ধরবে। পাশাপাশি নির্বাচনে আসন বণ্টন ও মূল্যায়নের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হতে পারে।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, “যুগপতের বৈঠকগুলো সাধারণত ১২ দলীয় জোট দিয়ে শুরু হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বিএনপির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই বলা হয়েছে— ‘ডিসেম্বরই শেষ সময়’। আমরাও একই বার্তা দিতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “বৈঠকে মূলত আলোচনা হবে— বিএনপির সঙ্গে আমরা কীভাবে নির্বাচনের ইস্যুতে জনগণের কাছে যাব এবং সরকারের ওপর ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়ে চাপ তৈরি করব।”

বৈঠক থেকে নতুন কোনো কর্মসূচি আসতে পারে কিনা জানতে চাইলে এলডিপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, “এই বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। পরবর্তীতে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।”

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্পষ্ট করেছেন— যুগপৎ সঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে। তাই শনিবারের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ।”

বৈঠকে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে শায়রুল কবির বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভেসে বেড়ানো বক্তব্য বা খবর নিয়ে যেন বিভ্রান্তি না ছড়ায়, সেদিকেও নজর দেওয়া হবে। একই সঙ্গে যদি কোনো বিষয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়, তবে দায়িত্বশীলদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধানে পৌঁছাতে বলা হবে।”