সোমবার জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে নারীনির্যাতন প্রতিরোধ ফোরাম, বাংলাদেশ এর সভাপতি মমতাজ বেগম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মাগুরায় শিশু ধর্ষনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আগামী ১৩ মার্চ দেশব্যাপী জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি মানবন্ধন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এদিন নেটওর্য়াকের পক্ষ থেকে দেশের ২৫ জেলায় এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। নেটওর্য়াকের সভাপতি মমতাজ বেগম জানান আমরা এমন সময় অতিবাহিত করছি যেখানে শুধু নারী নয় শিশুরা পর্যন্ত নিরাপদ নয়। খুন , ধর্ষন , যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন প্রতিদিনের ছবি। যদি এই নরপশুদের যদি দ্রুত বিচারের আওতায় এনে বিচার না করা হয় আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবার কথা বলেন।
এই লোমহর্ষক ঘটনায় দেশবাসী শংকিত। নারী বা কণ্যা শিশুদের নিরাপদ আশ্রয় হল তার পরিবার। সেই পরিবারের মধ্যে বসে আছে রক্ত পিপাসু হায়নারা যারা শুধু নারী নয় কণ্যা শিশুদের পর্যন্ত রেহাই দেয় না।
তিনি বলেন, এই ঘটনা আমাদের বিশ্বাস করতে হচ্ছে যে একটি নিস্পাপ শিশু রাতে খাবার খেয়ে বড় বোন ও তার স্বামীর সাথে একই কক্ষে ঘুমাই শিশুটি ।রাত আড়াইটার দিকে বড় বোন ঘুম থেকে জেগে দেখেন ,ছোট বোন পাশে নেই ,মেঝেতে পরে আছে ।তখন শিশুটি বড় বোনকে জানায়। তার যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া হচ্ছে ।কিন্তু বড় বোন মনে করে শিশুটি আবোল তাবোল বকছে ।তারপর সে তার বোনকে জানায় রাতে তার বোনের স্বামী দরজা খুলে দিলে তার বোনের শশুর তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন।পরে তাকে আবার বোনের কক্ষে মেঝেতে ফেলে রেখে যায় ।সকাল ১০তার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে মাগুরা ২৫০ সজ্জাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই দিন দুপুরে উন্নত চিকিসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয় । সেখান থেকে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল পাঠানো হয় । শুত্রুবার রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় । ৮ই মার্চ উন্নত চিকিসার জন্য শিশুটিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। যা অত্যন্ত নিষ্টুর ও ভয়ানক অপরাধ। বর্তমানে বাংলাদেশের নারীরা নিদারুন নিরাপত্তায় ভুগছে । উপরোক্ত ঘটনা সেটাই প্রমান করে । আমরা পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে সঠিক বিচারহীনতার কারণে একটি ঘটনা ঘটার পর পরই একাধিক ঘটনা ঘটে থাকে । এই জন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থেকে প্রতিবাদী হতে হবে এবং যে কোনো ঘটনা দ্রুত আইনের আওতায় এনে দোষীদের বিচার এবং শাস্তি প্রদান করতে হবে ।