শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত আফজাল হোসেন শিকদার উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ধোপাদাহ গ্রামের মৃত জসিমউদ্দীনের ছেলে। মৃত্যুকালে দুই ছেলে ও চার মেয়েসহ তিনি অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আফজাল হোসেন শিকদারের ছোট ছেলে শাহ আলম শিকদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আব্বা বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে অ্যাম্বুলেন্স যোগে যশোর সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটে মারা যান তিনি। শুক্রবার বাদ আসর আব্বার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন শেখ আফজাল হোসেন শিকদার। ১৯৭১ সালে কর্মরত ছিলেন কুমিল্লা সেনানিবাসে। ২৫ মার্চ অন্যান্যদের সঙ্গে বিদ্রোহ করে সেনানিবাসের ভেতরে প্রতিরোধ যুদ্ধে যোগ দেন। ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় তিনি সেনানিবাস ছেড়ে যান। পরে ২ নম্বর সেক্টরের মতিনগর সাব-সেক্টর এলাকায় গেরিলা যুদ্ধ করেন। তাকে একটি গেরিলা দল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। বুড়িচং, দেবীদ্বার, মুরাদনগর ও চান্দিনা থানার কিছু অংশে গেরিলা যুদ্ধ করেন। বেশকটি সফল অপারেশনে নেতৃত্ব দেন শেখ আফজাল হোসেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে।