• 04 May, 2024

বারইপাড়া সেতু নির্মাণ ৭ বছরেও শেষ হয়নি

বারইপাড়া সেতু নির্মাণ ৭ বছরেও শেষ হয়নি

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নবগঙ্গা নদীর ওপর বারইপাড়া সেতুর নির্মাণ কাজ ধীর গতিতে চলছে। আড়াই বছরে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বার বার মেয়াদ বাড়িয়ে সাত বছরেও কাজ শেষ হয়নি। নির্মাণ কাজ শেষের দিকে এসে সেতুর নকশায় ত্রুটি থাকায় নির্মাণ ব্যয়ও বেড়েছে তিনগুণ।

এতে ক্ষুব্ধ এ পথে চলাচলকারী লোকজন। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, দ্রুতই সেতু নির্মাণের বাকি কাজ শেষ হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে ও শুক্রবার (১৫ মার্চ) বারইপাড়া খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, নড়াইল শহর থেকে কালিয়া উপজেলার আটটি ইউনিয়নকে নবগঙ্গা নদী পৃথক করে রেখেছে। ফলে যোগাযোগে ভোগান্তি পোহাতে হয় কালিয়াবাসীকে।

২০১৭ সালে বারইপাড়া সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। নড়াইল-কালিয়া সড়কের নবগঙ্গা নদীর ওপর ৬৫১ দশমিক ৮৩ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের বারইপাড়া সেতু নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬৫ কোটি টাকা। সেতু নির্মাণের কাজ পায় যশোরের ঠিকাদার মইনুদ্দীন বাসী ও জামিল ইকবাল। কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০১৯ সালের জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তখন নির্দিষ্ট সময় শেষে কাজের অগ্রগতি ছিল মাত্র ২৩ শতাংশ। পরবর্তীতে আরও তিন বার সময় বৃদ্ধি করা হলেও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৪র্থ বার মেয়াদ বৃদ্ধির সময় বাঁধে নকশা জটিলতা। সেতুর ছাদের কিছু অংশ নির্মাণ কাজ শেষে দেখা যায়, সেতুর নিচ দিয়ে নৌযান চলাচল করতে পারছে না।

পরে নকশা পরিবর্তন করে উচু করে সেতু নির্মাণের জন্য নতুন নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় বাড়ে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। কয়েক দফায় সময় ও অর্থ বেড়ে এখন ব্যয় ১৩৫ কোটি ৯২ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। সেতুটি নির্মাণ হলে নড়াইল শহরের সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে যুক্ত হবে কালিয়া উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন। ফলে তাদের ভোগান্তি কমবে। তবে সেতু নির্মাণের ধীরগতিতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আহাদ কাজী বলেন, ‘আমরা রোগী নিয়ে যদি খুলনা বা নড়াইল যেতে চায়, তবে বারইপাড়া খেয়াঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অনেক সময় রাত্রে নৌকা পাওয়া যায় না। নড়াইল, কালিয়া, খুলনা, যশোর, বরিশালসহ বিভিন্ন অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে পার হয়।’  

এ ব্যাপারে নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, বারইপাড়া সেতুর কাজ চলমান রয়েছে। নকশা পরিবর্তনের কারণে আলাদা টেন্ডার করা হয়েছে। টেন্ডারটি লাইভে আছে। তিনি আশা করেন, ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।