• 12 Oct, 2024

সাক্ষী হাজির না হওয়ায় সময় নিয়েছে দুদক!

সাক্ষী হাজির না হওয়ায় সময় নিয়েছে দুদক!

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামি বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষী হাজির করতে সময় নিয়েছে দুনীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত ৮ সেপ্টেম্বর ৬৪ জন সাক্ষীকে সাক্ষ্য দিতে আজকের দিন ঠিক করেন আদালত। সে অনুযায়ী আজ এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের ধার্য দিন ছিল। কিন্তু এদিন সাক্ষী হাজির না হওয়ায় সাক্ষী হাজির করার সময় আবেদন করেন দুদকের পক্ষে দুদকের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মীর আহমেদ আলী সালাম।

এদিন খালেদা জিয়া পক্ষে আইনজীবীরা সময় আবেদনের বিরোধিতা করেন। কিন্তু দুদকের পক্ষে ন্যায় বিচারের স্বার্থে সময় মঞ্জুরের আবেদন করেন। তখন ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক জজ শেখ হাফিজুর রহমান সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেন। কিন্তু দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর সময় আরও বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করলে আদালত বাড়িয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর ঠিক করেন। আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভুইয়া নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, মামলায় মোট সাক্ষী ৭০ জন। যার মধ্যে মামলায় বাদী ও দুই কানাডিয়ানসহ ৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। একজন সাক্ষী বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আব্দুল বাকী সাক্ষ্য চলমান রয়েছে।

গত বছর ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

চার্জশিটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিচার্জ করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অর্থ আত্মসাতের দুর্নীতি মামলায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। কারাগারে থাকাবস্থায় চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত। দণ্ডিত হওয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় একই বছর ৩০ অক্টোবর আপিলে হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর জেলে থাকার পর সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে দুটি শর্তে খালেদা জিয়াকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ মুক্তি দেয় সরকার। বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালিন সরকার গঠিত হওয়ার পর গত ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করে মুক্তির আদেশ দেন।