• 08 Sep, 2024

আড়াই হাজারে বেতনে স্বাক্ষর করে বিআরডিবি'র অফিসের আয়া পান মাত্র এক হাজার!

আড়াই হাজারে বেতনে স্বাক্ষর করে বিআরডিবি'র অফিসের আয়া পান মাত্র এক হাজার!

আয়ার বেতনে ভাগ বসান উপ-পরিচালক। আড়াই হাজারে টাকায় স্বাক্ষর করে বেতন পান মাত্র এক হাজার টাকা। এধরনের অভিযোগ উঠেছে নড়াইলের বিআরডিবি'র উপ-পরিচালকর কার্যালয়।

এখানে রাজস্ব পদ কাজ করন ৩ জন। প্রকল্পর  ২ জন। এছাড়া মাষ্টাররাল কাজ করন এক ঝাড়দার। উপ-পরিচালক অফিসের আয়ার জন্য একটি খরচ রয়েছ। সেখানে একজন আয়া প্রতিনিয়ত কাজ করেন। ঘরঝাড় থেকে শুরু করে সব কাজই করতে তার। এর বিনিময় বেতন পান মাত্র এক হাজার টাকা। এভাবই দীর্ঘদন ধর চলছে আসছে নড়াইলর পল্লী উনয়ন বোর্ডের নড়াইল উপ-পরিচালকর কার্যালয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালে নড়াইল যোগদানের পরপরই এই অফিস আয়ার নামে বেতন হয় আড়াই হাজার টাকা বেতনের সীট এবং চেকে একই পরিমান টাকা উল্লখ করা হলও আয়া বেতন হাত পান মাত্র এক হাজার টাকা। অফিসের এহেন জালিয়াতির পর কাজ ছেড়ছেন চায়না নামের এক আয়া। চায়না বলেন, সুজিত স্যার আসার আগে যারা কাজ করতো তারা পুরা বেতনই পেতো। কাগজে স্বাক্ষর করি আড়াই হাজার আর  হাত দেয় এক হাজার। একবছর ধরে পুরাটা দেবার কথা বলে আর দেয়নি, এই রাগে চাকরী ছেড়ে দিয়েছি। এরাই গরীব মানুষর টাকাই ভালা খেতে পারে”। 

চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময় চাকুরীতে যোগ দান করেন মুর্শিদা নামর আরকজন। প্রাথমিক কথায় একহাজার টাকার কথা বলে তাক নিয়োগ দেয়া হয়। মাস শেষে বেতনের কাগজ সই করত গিয় দেখেন সেখান লেখা আছ আড়াই হাজার টাকা। কর্মকর্তাকে এই ব্যাপার জিজ্ঞসা করলে পরের মাসে বেতন বাড়িয় দেবার আশ্বাস দেন। ৩ মাস ধরই আড়াই হাজার টাকার কাগজে স্বাক্ষর করে আসছে। চলতি জুলাই মাসেও একই একহাজার টাকা বেতন দেয়া হয় গরীব এই গহপরিচারিকাকে।

মুর্শিদা বলন, এটা কোন ধরনের জালিয়াতি? আমার বেতন আড়াই হাজার অথচ দেয়া হচ্ছে মাত্র এক হাজার টাকা।আমাদের মতো গরীবের টাকা মেরে উনারা শান্তি পাবেন না। আমি এর বিচার চাই। 

অফিসের পিয়নের বিশ্রামরের জন্য একটি মূল্যবান খাট ছিলো, সেটাও নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছেন উপ-পরিচালক সুজিত বিশ্বাস জানালনে অফিসের এক কর্মচারী।

নাম প্রকাশ না করার শর্ত এই অফিসের একজন সাবেক কর্মকর্তা বলেন, এটা উপ-পরিচালকর এখতিয়ার। কি আরা অনেক খাত থাকা সত্ত্বেও গরীব মানুষের এই টাকা খাওয়াটা কেউ সমর্থন করে না।

এ বিষয় জানত চাইল উপ-পরিচালক সুজিত কুমার বিশ্বাস (০১৭১৬৩২৭২২৫) বলেন, বাকি টাকা অন্য আরেকজনক দেয়া হয়। একটু পরে কথা ঘুরিয় বলন, বাকি টাকা দিয়ে টলেট পরিস্কারের দ্রব্যাদি কেনা হয়। আপনার অফিস কনটজন্সি বিল হয় না? এমন প্রশর উত্তর তিনি বলন,ওটা আমরা তুলি না।