অভিযোগ, সেই ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে পরশমণির বাড়িতে টিনের বেড়া লাগিয়ে দখলের চেষ্টা করছেন জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মিঠাপুর মৌজার চাকুলিয়া গ্রামে কবলা দলিলমূলে কেনা ২৩ শতাংশ জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন পরশমণি বিশ্বাস মন্টু। ওই নালিশী জমির উত্তরপাশে প্রতিবেশী জিয়াউর রহমানের বাড়ি। গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে জিয়াউর, তার স্ত্রী সালমা ও ছেলে জাহিদ হোসেনসহ ৬ থেকে ৭ জন সংঘবদ্ধভাবে দেশি ধারালো অস্ত্র এবং লাঠি নিয়ে পরশমণি বিশ্বাসের বাড়িতে ঢুকে দখলের চেষ্টা চালায়।
প্রতিরোধ করতে গেলে প্রতিপক্ষরা পরশমণিসহ তার বৃদ্ধা মা গৌরি রানী বিশ্বাস, প্রতিবেশী দীন ইসলাম, তার স্ত্রী হালিমা এবং দীন ইসলামের বৃদ্ধা মা কুলসুম বেগমকে মারধর করে। এক পর্যায়ে উঠানে টিনের বেড়া দিয়ে প্রতিপক্ষরা বাড়িটি দখল করে নেয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তাদের বসতভিটা দখলে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার।
পর দিন (১৮ এপ্রিল) নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের হলে বিজ্ঞ বিচারক নালিশী জমিতে শান্তি-শৃংখলা রক্ষায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেন। লোহাগড়া থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।
এছাড়া লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (এসিল্যান্ড) দখল বিষয়ক তদন্ত প্রতিবেদন দিতে এবং দ্বিতীয় পক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
মামলার বাদী পরশমণি বিশ্বাস মন্টু বলেন, আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে প্রতিপক্ষরা আমার জমিতে টিনের বেড়া দিয়েছে। আমাদের মারধর করেছে।
এদিকে অভিযুক্তরা বলেন, আমাদের ন্যায্য জমি বুঝে নেওয়ার জন্য টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। আমরা কারো জমি দখল করিনি। আমাদের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, নালিশী জমিতে ১৪৪ ধারা জারির পর দুইপক্ষকে সংযত থাকার জন্য বলা হয়েছে। কেউ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।