• 02 May, 2024

২১ সহোদরাকে ভিকারুননিসায় ভর্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

২১ সহোদরাকে ভিকারুননিসায় ভর্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিভিন্ন শ্রেণির বর্তমান শিক্ষার্থী এমন ২১ জনের বোনকে (সহোদরা) এক সপ্তাহের মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বর্তমান শিক্ষার্থীর বোন হওয়া সত্ত্বেও এতদিন তাদের ভর্তি করেনি প্রতিষ্ঠানটি।

একইসঙ্গে ভিকারুননিসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সহোদরা বা যমজ ভাই-বোনদের ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের যে বাধ্যবাধকতা ছিল তা অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে জারি করা রুল অবৈধ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন ও ব্যারিস্টার আরিফ চৌধুরী।

আইনজীবীরা জানান, বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজে (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা ২০২২ অনুসারে, অধ্যয়নরত কোনো শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই-বোন যদি একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করে, তবে ওই প্রতিষ্ঠানের ভর্তি যাচাই-বাছাই কমিটিকে তার ভর্তি নিতে বলা হয়েছে।

কিন্তু গত ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক পরিপত্র জারি করে নীতিমালাটিতে সংশোধনী আনে। এতে সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই-বোনদের ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। অর্থাৎ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা জমজ ভাই-বোন একই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চাইলে তাদের মধ্যে কেবল ৫ শতাংশ ভর্তির সুযোগ পেত।

পরে ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৫৬ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে (যাদের বোন ভর্তি হতে চায়) হাইকোর্টে আলাদা রিট দায়ের করেন তাদের অভিভাবকরা। ওইসব রিটের শুনানি নিয়ে সংশোধিত নীতিমালা স্থগিত করে তাদের ভর্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুল জারি করেন আদালত।

হাইকোর্টের আদেশে ৫৬ জনের মধ্যে ৩৫ জনের বোনকে ভর্তি করা হয়। ৫ শতাংশের বাধ্যবাধকতা থাকায় অবশিষ্ট ২১ জনের বোন তখন ভর্তি হতে পারেনি।

আজ আগের রুল যথাযথ ঘোষণা করে ৫ শতাংশের বাধ্যবাধকতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে ২১ জনকে এক সপ্তাহের মধ্যে ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।