মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) নতুন এই তথ্য জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ইসরায়েলের একাধিক গুপ্তহত্যার পর ইরান জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। কিন্তু এতদিন চুপ থাকলেও ইরানের এই জবাব এখন যে কোনো মুহূর্তে শুরু হতে পারে।
তবে ইসরায়েলে হামলা চালালে ‘কঠিন পরিণতি ভোগ করতে’ হবে বলে তেহরানকে যুক্তরাষ্ট্র সতর্কতা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন এই কর্মকর্তা।
তিনি সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, “ইরানের এই হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে আমরা সক্রিয়ভাবে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থাকে সহায়তা করছি। আমরা তাদের বলেছি, ইরান থেকে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পরিণতি হবে ভয়াবহ।”
এক্সিওস জানিয়েছে, গতকাল সোমবার লেবাননে ইসরায়েল স্থল হামলা চালানোর ঘোষণা দেওয়ার পরই ইরানের সম্ভাব্য হামলার সম্ভাবনা বেড়েছে।
গত ৩১ জুলাই হামাসের সাবেক প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়া ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকার হন। এরপর থেকেই ইসরায়েলকে জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে ইরান।
কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত জবাব দেয়নি। এছাড়া গত দুই সপ্তাহে হিজবুল্লাহও ইসরায়েলে বড় হামলা চালানোর অনুমতি চাইলেও ইরান তা দেয়নি।
কিন্তু হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং লেবাননে স্থল হামলার কারণে ইরানের অবস্থান পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ ইরান এখন তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রক্সি বাহিনী হিজবুল্লাহর অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টা চালাবে। যেটিকে গত কয়েক দশকের চেষ্টায় তৈরি করেছে তারা।