দ্বিতীয় দিনে ইসিতে ১৪১ আপিল জমা
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফেরাতে নির্বাচন কমিশনে(ইসি) দ্বিতীয় দিনে মোট ১৪১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারি রোববার ভোটগ্রহণের দিন রেখে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কমিশনের হাতে কিছু ক্ষমতা থাকে। বিবিসি বাংলা এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে।
নির্বাচন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীমের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়েছে— তফসিল ঘোষণার পর আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন চাইলে প্রশাসনের মধ্যে রদবদল আনতে পারে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা হয়েছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং তাদের অধস্তন কর্মকর্তাদের নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা ছাড়া বদলি করা যাবে না। অন্যদিকে নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে বদলি করার প্রয়োজন হলে করলে নির্বাচন কমিশন লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবে। এরপর যত দ্রুত সম্ভব সে বদলি কার্যকর করতে হবে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যদি কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আইন ও আচরণ বিধির গুরুতর লঙ্ঘন করেন, সেক্ষেত্রে প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে উল্লেখ করা আছে, একজন রিটার্নিং অফিসারকে নির্বাচন কমিশন যেভাবে দায়িত্ব দেবে, তিনি সে দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য থাকবেন।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীমের ভাষায় একজন রিটার্নিং অফিসার একটি এলাকায় ‘অল ইন অল’ বা সর্বেসর্বা। তার তত্ত্বাবধানের নির্বাচন পরিচালিত হয়।
কমিশন আবশ্যিক মনে করলে ফলাফল গেজেট প্রকাশ করা স্থগিত রাখতে পারবে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফেরাতে নির্বাচন কমিশনে(ইসি) দ্বিতীয় দিনে মোট ১৪১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আবেদনের জন্য ৭ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত সময় দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন পাঠাতে হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইসিতে আবেদন জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার শতাধিক পর্যবেক্ষক।
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমনীতি ইস্যুতে বাংলাদেশের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এমন মন্তব্য করে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দ্বিবার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের শ্রম আইনে থাকা শ্রম অধিকারের বেশ কিছু পরিপালন করা হয়েছে। তবে তারা আরো অগ্রগতি চায়।