যে কারণে একাদশে নেই তানজিম সাকিব
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচেই পাদপ্রদীপের আলোয় চলে আসেন তানজিম হাসান সাকিব। বাংলাদেশ ক্রিকেটে আগমনের বার্তা দিয়েছেন বেশ জোরেশোরেই। অভিষেক ম্যাচের প্রতিপক্ষও সমীহ জাগানোর মতোই।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সফল অধিনায়ক তামিম ইকবালের হঠাৎ ক্রিকেট জগত থেকে বিদায় নেয়ায় দেশের বরেণ্য ক্রিকেটার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা তার ফেসবুকে এক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সাবেক ক্রিকেট দলের এই অধিনায়কের প্রতিক্রয়াটি নড়াইলকণ্ঠ পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।
মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার ফেসবুকে দেয়া প্রতিক্রিয়া নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো:
তামিম, তোর সিদ্ধান্ত অবশ্যই একান্তই তোর। এটা কারও ভালো লাগলেও তোর, ভালো না লাগলেও তোর। পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কথাই হবে। তবে সবচেয়ে ভালো কোনটা, সেটা তুই ছাড়া কেউই ভালো বুঝবে না। তাই তোর এই সিদ্ধান্তকে আমি ব্যাক্তিগতভাবে শতভাগ সম্মান জানাই।
তবে কিছু কথা জানতে মন চায়, মাত্র ৩৪ বছর ১০৮ দিনেই বিদায় কেন! আসলেই কি চালিয়ে যেতে পারছিস না? না কি কোনো চাপ তোকে বাধ্য করেছে!
তোর অনেক ভক্ত হয়তো খুঁজে ফিরবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর। আজ খুঁজবে, এমনকি ভবিষ্যতও আরও অনেকদিন খুঁজবে।
তোকে প্রথম দেখেছি চট্টগ্রামে তোদের বাসায়, হাফ প্যান্ট পরে খেলছিলি। তোর ভাই, আমার বন্ধু নাফিস ইকবাল তোকে আমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল। পরের বার দেখলাম জাতীয় লীগে ওপেন করতে, খুলনার মাঠে। তারপর ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে একসঙ্গে পথ চলতে চলতে তুই হয়ে গেলি বন্ধুর মতো। কত দিন কত রাত এক সঙ্গে সময় কাটিয়েছি, একসঙ্গে খেতে যাওয়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা, দুষ্টুমি, মজা, তর্ক, খেলা নিয়ে কত কত আলোচনা করেছি, সেসবের কোনো হদিস নেই।
যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলাম, তখন তুই ছিল আমার অন্যতম ‘স্নাইপার।’ সেটা তুই নিজেও খুব ভালো করেই জানিস। যেদিন দল থেকে বের হয়ে এলাম, সেদিন তুই আমাকে কাঁধে তুলে নিয়েছিলি। পরে সারারাত একসঙ্গে আড্ডা দিয়েছিলাম। যে কোনো সিরিজ বা সফরে তুই ছিলি আমার রুমে আড্ডার অবধারিত সঙ্গী। আরও কত শত স্মৃতি এখন মনে পড়ছে!
তোকে যতটুকু চিনি, তাতে তোর এই সিদ্ধান্তকে আমি অনায়াসে পোস্টমর্টেম করতে পারতাম। কিন্তু তা করব না, কারণ ওই যে, তোর নিজস্ব সিদ্ধান্তকে অবশ্যই সম্মান জানানো উচিত।
তোর মানসিক অবস্থা আমি বুঝতে পারছি, সেই সঙ্গে এটাও বলছি যে, তুই বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যা কিছু দিয়েছিস, তা আমরা আজীবন মনে রাখব। একজন তামিম হয়ে উঠতে কতটা পরিশ্রম, কতটা সময়, কতট মেধা আর কত ত্যাগ থাকতে হয়, তা সময় সব কিছু বুঝিয়ে দেবে।
তোর প্রতি রইল অফুরন্ত ভালোবাসা। পরবর্তী জীবন পরিবার নিয়ে দারুণ কাটাবি, সেই আশাই করছি।
আর একটা কথা, দলের ভেতর নানা পরিসংখ্যান নিয়ে বিশ্লেষণ নির্ভর আলোচনা এখন কে করবে, ঠিক জানি না। হয়তো কেউ করবে। তবে তুই এই জায়গায় সবসময়ই থাকবি সেরাদের সেরা।
গুড বাই মি. তামিম ইকবাল খান। একজন কিংবদন্তির বিদায়।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য শুভ কামনা, এগিয়ে চলুক দুর্বার গতিতে। আমাদের এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচেই পাদপ্রদীপের আলোয় চলে আসেন তানজিম হাসান সাকিব। বাংলাদেশ ক্রিকেটে আগমনের বার্তা দিয়েছেন বেশ জোরেশোরেই। অভিষেক ম্যাচের প্রতিপক্ষও সমীহ জাগানোর মতোই।
আগের আসরে অধিনায়ক আর এবার আসরে নেই ড্রাফটে। এক বছরের মধ্যে একেবারে মুদ্রার বিপরীত পিঠ দেখে ফেললেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাসির হোসেন।
বেশ কয়েক দিনের নাটকীয়তা শেষে ঘোষণা করা হল পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াড। চোটের কারণে দলে রাখা হয়নি নাসিম শাহকে। তার পরিবর্তে লম্বা সময় পর ফিরেছেন হাসান আলী।