সম্প্রতি এ রকম কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুক এরই মধ্যে এধরনের অনেক পোস্ট ব্লক করেছে।
অনেকেই ইউটিউব চ্যানেল খোলেন দুটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে। এক, দ্রুত সাবস্ক্রাইবার বাড়িয়ে বিপুল টাকা উপার্জন। দুই, রাতারাতি সেলেব্রিটি হওয়ার বাসনা। কিন্তু তাদের বেশির ভাগের অজানা, এর জন্য বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়।
ইউটিউবের নিয়ম অনুযায়ী, এক হাজার সাবস্ক্রাইবার হওয়ার পাশাপাশি অন্তত চার হাজার ঘণ্টার ওয়াচটাইম থাকতে হয়, তাহলেই কোনো চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য বিবেচিত হন। একবার তা হয়ে গেলে প্রতি এক লাখ ভিউয়ের জন্য চার হাজার টাকার কাছাকাছি পাওয়া যায়। এভাবে টাকা ইনকাম তো হয়ই, ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বেশি থাকলে, তাকে কার্যত সেলেব্রিটির মর্যাদা দেওয়া হয়।
ইউটিউবের নিয়ম বলছে, চ্যানেল খোলার পরে রেগুলার ভিডিও আপলোড না করতে পারলে সাইস্ক্রাইবার বাড়ে না। তা আবার নির্ভর করে অ্যালগোরিদমের ওপর। কোনো ভিডিও কয়েকবার ভাইরাল না হলে ম্যানুয়ালি সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি পায় না।
এর জন্য সময় ও ধৈর্য দুটোরই প্রয়োজন। অধিকাংশ ক্রিয়েটর এই ধৈর্যটাই রাখতে পারেন না। তারা বিকল্প রাস্তা খোঁজার চেষ্টা শুরু করেন। আর ঠিক এই জায়গাতেই ফাঁদ পাতে সাইবার অপরাধীরা। ইউটিউবে সাবক্রাইবার এবং ওয়াচটাইম বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্যাকেজের অফার দিতে শুরু করে। এমন বিজ্ঞাপনের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় ফেসবুককে।
তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এভাবে সাবস্ক্রাইবার বাড়িয়ে কোনো লাভ হয় না। কারণ এআইয়ের মাধ্যমে যেকোনো চ্যানেলে ঠিক কতজন সক্রিয় সাবস্ক্রাইবার রয়েছে তা সহজেই বুঝে যান কর্তৃপক্ষ। ফলে নিষ্ক্রিয়দের এই কাউন্টের মধ্যে গ্রাহ্যই করা হয় না। যারা টাকা দিয়ে চটজলদি টাকা ইনকামের ফাঁদে পা দেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেই ভুল ভাঙে। ফলে ধীরে ধীরে অরগানিক সাবস্ক্রাইবার বাড়ানো বুদ্ধিমানের কাজ। প্রতারকদের টোপে পা দিলে টাকা যাবে, ভেঙে যাবে সফল ক্রিয়েটর হওয়ার আশাও।