• 08 May, 2024

টাকা বিলি করছেন নৌকার প্রার্থী নদভী, অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর

টাকা বিলি করছেন নৌকার প্রার্থী নদভী, অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর

ভোটারদের মধ্যে সরাসরি নগদ টাকা বিলির অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম-১৫ (আংশিক সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীর বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব অভিযোগ দেন। আওয়ামী লীগের এই নেতা আসনটি থেকে ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নদভীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারকালে তার মেয়ে ও সহকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে নগদ অর্থ বিলি করে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। এমনকি টাকা দেওয়ার পাশাপাশি ধর্মগ্রন্থ ছুঁয়ে শপথ করিয়ে ভোটারদের নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ধরনের অসুস্থ প্রবণতা আরও বৃদ্ধি এবং নির্বাচনের আগের রাতেও নগদ টাকা বিলানো হবে বলেও নদভী বলে বেড়াচ্ছেন। এ প্রবণতা দ্রুত সময়ে বন্ধ না হলে, নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের আশঙ্কা করছেন মোতালেব।

অভিযোগের ব্যাপারে ড. আবু রেজা নদভী বলেন, মোতালেব টাকা বিতরণের যে ছবি দেখাচ্ছে তা আমার প্রচারণার সময় কোনো এনজিও সংস্থার কর্মী সেখানে তাদের ঋণের টাকা আদায় করছিল।

এ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস বলেন, অভিযোগটির তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে নৌকার আবু রেজা নদভী ও এম এ মোতালেব ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন আরও ৫ জন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আলী হোসাইন মোমবাতি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ সোলাইমান কাসেমী হাতঘড়ি, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ ছালেম লাঙ্গল, ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ হারুন মিনার এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. জসিম উদ্দিন ছড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ১৭ ডিসেম্বর। এরপর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করতে হয়। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। এর আগের ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে।

এমআর/এসএম