কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর আ.লীগের রুদ্ধদ্বার বৈঠক
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অংশ নেন।
জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, কোনো দল তাদের নীতি-আদর্শ নিয়ে রাজনীতিতে টিকতে না পারলে সামনের দিকে অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। অস্বাভাবিক রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই স্বাভাবিক রাজনীতি চলতে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। বিরোধী দলকে কাজ করতে দেওয়া সরকারেরই দায়িত্ব।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাপার প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের ৯৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বনানীতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় জি এম কাদের এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সরকার বলে বেড়ায় দেশে নাকি রুগ্ণ মানুষ দেখা যায় না। এটা কি সত্য কথা? আমাদের বেশির ভাগ মানুষ অর্থকষ্টে আছে। সরকার যদি না বোঝে দেশের মানুষ কষ্টে আছে, তাহলে সমাধান হবে কীভাবে? মানুষ যখন মোটেও খাদ্য কিনতে পারবে না, না খেয়ে মারা যাবে—সে অবস্থা এখনো আসেনি। তবে সেদিকেই তো দেশ যাচ্ছে।
জি এম কাদের বলেন, সরকারি হিসাবেই দেশের প্রায় ২৬ ভাগ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। খাদ্যদ্রব্য তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এই বিশাল অংশ ধার করে খাবার ক্রয় করছে। ১ থেকে দেড় কোটি পরিবার বা ৪ কোটি মানুষ এমন বাস্তবতা মোকাবিলা করছেন। যারা পরিবারভুক্ত নন, তারা এই হিসাবের বাইরে। তারা বছরে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা ঋণ করছেন খাবার ক্রয় করতে। ঋণ না করলে তারা খাবার পাচ্ছেন না। যারা ধার পরিশোধ করতে পারেন, তাদেরই মানুষ ধার দেন। প্রায় চার কোটি মানুষ খাদ্য কিনতে ধার করছেন, কিন্তু হতদরিদ্ররা তো কারও কাছে ধার পান না।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অংশ নেন।
সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বর্তমান সরকার শক্তি-সামর্থ্য দিয়ে এই দেশটাকে দখল করে ফেলেছে। এখন জনগণের কথার কোনো দাম নেই, এখন তাদের কথায় জনগণকে চলতে হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, উত্তর, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে দলের কর্মসূচি অবহিত করতে যৌথ সভা ডেকেছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সেই সভার সূচনা বক্তব্যের শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক অন্যান্য নেতাদের বক্তব্য দেবেন কি না— জিজ্ঞাসা করলেও কেউ রাজি হননি। এ অবস্থায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সূচনা বক্তব্যেই শেষ হয়ে যায় যৌথ সভা।