তিন মাসে কোলাহলমুক্ত থাকায় বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজাতি অবাধে চলাফেরা, বিচরণ ও নির্বিঘ্নে প্রজনন করতে পারায় সুন্দরবন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। নিজের মতো করে সেজেছে সুন্দরবন। এরই মধ্যে জেলে, ট্যুর অপারেটর, লঞ্চ ও বোট চালকরা সুন্দরবনে প্রবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সুন্দরবনের আশপাশ এলাকার ইকো কটেজগুলোও প্রস্তুতি নিচ্ছে পর্যটক বরণে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘প্রতি বছর সুন্দরবনের প্রজনন মৌসুমে তিন মাস ট্যুরিস্ট ও বনজীবীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এ সময় বন কোলাহলমুক্ত থাকায় বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজাতি অবাধে চলাফেরা এবং নির্বিঘ্নে প্রজনন করতে পারে। ফলে সুন্দরবন এ তিন মাসে প্রাণ ফিরে পায়। আজ থেকে সুন্দরবনে আবারো দর্শনার্থী ও বনজীবীরা প্রবেশ করতে পারবে। তবে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে চাওয়া বনজীবী ও দর্শনার্থীরা প্লাস্টিকের পানির বোতল, চিপসের প্যাকেটের মতো সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সঙ্গে নিতে পারবে না।’