স্কুলে দিনের পর দিন এমপি সাহেবের মিটিং,মিছিলে করে অনুপস্থিত থাকতো।মনে চাইলে স্কুলে ক্লাস নিতো আর মনে না চাইলে ক্লাস না নিয়েই বসে থাকতো।তার সকল অন্যায় ও অবিচার স্থানীয় জনগন তা হাতেনাতে ধরে।জনগণ, অভিভাবক ও স্কুল কমিটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এদিকে ঐ শিক্ষিকা এমপির সাহেবের হস্তক্ষেপে যারা তার কুকর্ম ও লুটপাটের ঘটনায় বিচার চান ও মানববন্ধন করে তাদের নামে মামলা ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেন।এমনকি অনেক মানুষ তার বাড়ি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য করে। এক কথায় এই শিক্ষিকা এলাকায় সব সময় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রাখতো।স্কুলের জমিদাতা ও সাবেক সভাপতি জনাব আবুল কাশেম সরদার ও সাবেক সভাপতি মহসিন সরদার বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকায় স্কুলের সকল আয়-ব্যয়ের হিসাব নিকাশ প্রধান শিক্ষিকা নিজেই সব করতেন বলে এলাকা বাসি জানান। বারবার এমপি ও আওয়ামী লীগের ক্যাডারবাহিনী দিয়ে অপমান ও হেনস্তা করতেন স্কুলের সভাপতিকে।আমরা দীর্ঘদিন এই জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছি বারবার বিচার চেয়েও বিচার পাইনি ।এখন স্বৈরাচার মুক্ত দেশ,এখন বিচার পাবো তাই নড়িয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন দাবি জানান এলাকাবাসী।
শিক্ষিকা সরকারি চাকরিতে কর্মরত থেকে বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ করেন, যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা লঙ্ঘন ১৯৭৯-এর ২৩ ধারা এবং ২৫(১)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা লঙ্ঘন ১৯৭৯-এর ২৩ ধারায় বলা আছে, সরকারি কর্মচারী নিজ নামে প্রকাশিত কোনো লেখায় বা তার কর্তৃক জনসমক্ষে প্রদত্ত বক্তব্যের অথবা বেতার-টেলিভিশনে সম্প্রচারে কোনো বক্তব্য এমন কোনো বিবৃতি বা মতামত প্রকাশ করতে পারবেন না, যা সরকারকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলতে পারে।
আর ২৫ ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে বা কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ ভাবি দেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বা কোনো প্রকারেই সহযোগিতা করতে পারবেন না।