সবকিছু রুটিন অনুযায়ী চললে আপনার সারাদিনের কাজগুলো সহজ হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে কমে আসবে স্লিপ প্যারালাইসিসের সমস্যাও। দিনে কতটুকু সময় কাজ করবেন আর কতটুকু বিশ্রাম নেবেন তার আনুমানিক হিসাব লিখে রাখুন। যত কাজই থাকুক না কেন, রাতে অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস করুন।
নিয়ম বজায় রাখুন
শুধু সাত ঘণ্টা ঘুমালেই হবে না, তা করতে হবে প্রতিদিন একই নিয়মে। অর্থাৎ আজ রাত দশটায় ঘুমাতে গেলে আগামীকালও তাই করুন। এভাবে প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন। আগে ঘুমাতে যাওয়া এবং আগেভাগে ঘুম থেকে ওঠার রয়েছে অনেক উপকারিতা। নির্দিষ্ট সময় বজায় রেখে চলতে পারলে স্লিপ প্যারালাইসিসের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।
ফোন দূরে রাখুন
ঘুমের আগে ফোন ব্যবহার করা আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এটি নানাভাবে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এমনকী স্লিপ প্যারালাইসিসের পেছনে কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে এই অভ্যাসও। তাই ঘুমের অন্তত দুই ঘণ্টা আগে সব ধরনের গ্যাজেট ব্যবহার বাদ দিন। হাতের কাছ থেকে সরিয়ে রাখুন স্মার্টফোন। স্ক্রিনটাইম যত কম হবে তত ঘুম ভালো হবে।
রাতে ভারী খাবার খাবেন না
আমাদের মধ্যে অনেকেরই রাতের বেলা ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। এই অভ্যাস এড়িয়ে চলুন। রাতের বেলা ভারী ও মসলাদার খাবার খাওয়া একদমই ঠিক নয়। এসময় চা, কফি এবং মাংস জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। রাতের খাবার খেতে হবে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টা তিনেক আগে। কারণ রাতের খাবার দেরিতে খেলে তা ঘুমে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে এবং দেখা দিতে পারে স্লিপ প্যারালাইসিসের মতো সমস্যা।
ব্যায়াম করুন নিয়মিত
নিয়মিত ব্যায়ামের অনেক উপকারিতা। স্লিপ প্যারালাইসেস মতো সমস্যা দূর করতে কাজ করে এটি। সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করুন প্রতিদিন। এতে রাতের ঘুমও ভালো হবে। ঠিক থাকবে বডি ফাংশন। সেইসঙ্গে সব ধরনের স্ট্রেস দূর করার জন্য মেডিটেশন করতে পারেন। এতে সমস্যা অনেকটাই দূর হবে।