এক নুয়ান থুসারার কাছেই হাতছাড়া হয় টাইগারদের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন। এবার নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতেও একই পরিস্থিতির সামনে বাংলাদেশ দল। আগামীকাল সোমবার সকালে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তরা।
সিরিজ নির্ধারিত এই ম্যাচে যারাই জয় পাবে তারাই জিতবে ট্রফি। টাইগাঁর ক্রিকেটের লাকি ভেন্যু হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সকাল দশটায়। সিরিজের এই ম্যাচে বাংলাদেশ দল থেকে এরইমাঝে দুজন ছিটকে গিয়েছেন। দল থেকে ফর্মহীনতায় বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ লিটন দাস। আর ইনজুরিতে ছিটকে গিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব।
ম্যাচের জয়ের আগে টাইগার অলারাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ অবশ্য সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ম্যাচের আগের দিন আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে এসে মিরাজ বলেন, ‘আমরা তো অবশ্যই ১০০% আশাবাদী। ইনশাল্লাহ আমরা ম্যাচটা জিতব এবং আমরা সিরিজটা জিতব।’
শেষ ওয়ানডে অবশ্য রাতে না থাকায় শিশিরের ঝামেলা থাকছে না। মিরাজ অবশ্য খুশি এই নিয়ে, ‘না আলহামদুলিল্লাহ। একটা জিনিস দেখেন যে শেষ ম্যাচটা আমরা হেরেছি। যে জিনিসটা বললেন কন্ডিশন, আমরা তো জানি আমাদের কন্ডিশন সম্পর্কে যেহেতু ডে ম্যাচ এটা অবশ্যই আমাদের সুবিধা থাকবে। কারণ রাতের খেলা নির্ভর করে অনেকটা টসের উপরে। টস যারা জিতে তাদের সুবিধা বেশি থাকবে। অবশ্যই কালকের ম্যাচটা আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করব।’
শেষ দুই ওয়ানডে খেলা হয়েছে স্পোর্টিং উইকেটে। বাংলাদেশ প্রায়ই ঘরের মাঠে স্পিনিং উইকেটের ওপর নির্ভর করে। তবে এবার স্পোর্টিং উইকেটে খেলে তৃপ্ত মিরাজ, ‘আমার কাছে মনে হয় এটাই আদর্শ উইকেট। এরকম উইকেটে আমাদের ম্যাচ খেলাটা, যদি এখন থেকে অভ্যাস করতে পারি। ব্যাটাররা বড় রান করতে পারি বোলাররা কীভাবে ডিফেন্ড করতে পারি (তা শিখতে পারি)। এটা করতে পারলে ভবিষ্যতে আমাদের বড় টুর্নামেন্টে আমাদের সাফল্য আসবে।’
লঙ্কান দলেও এই ম্যাচে পরিবর্তন দেখা যাবে। ইনজুরির কারণে ছিটকে গিয়েছেন দিলশান মাদুশাঙ্কা। গত ম্যাচে লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্তকে ফিরিয়েছেন তিনিই। এই ম্যাচে তার অনুপস্থিতিতে দেখা যাবে নতুন কাউকে।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার আগের ৯টি সিরিজের মাত্র একটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। দুই দলের মুখোমুখি হওয়া সর্বশেষ সিরিজেই এসেছিল সেই সাফল্য। ২০২১ সালে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসের পারদ আজ উঁচু থাকবে বাংলাদেশের জন্য। দুই দলের মধ্যেকার ৯টি সিরিজের ২টি হয়েছে ড্র। বাকি ৬ সিরিজের ট্রফি গিয়েছে লঙ্কানদের শো-কেসে।