পাঁচ ম্যাচের সিরিজে হেডিংলি টেস্ট ছাড়া বাকি সব ম্যাচেই পয়েন্ট কাটা হয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের। চার টেস্টে সবমিলিয়ে ১৯ পয়েন্ট হারিয়েছে তারা। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার জরিমানা হয়েছে কেবল চতুর্থ টেস্টেই। ম্যানচেস্টার টেস্টে স্লো ওভার রেটের কারণে ১০ পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়েছে তাদের।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শর্তে এই পয়েন্টগুলো পরবর্তীতে বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। এর আগে, এই টুর্নামেন্টের প্রথম চক্রেও স্লো ওভাররেটের কারণে ফাইনাল খেলা হয়নি অজিদের।
আইসিসির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আইসিসি কোড অব কন্ডাক্টের পরিবর্তিত ধারা অনুযায়ীও দুই দলকে জরিমানা করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে প্রতি ওভার কম করার কারণে ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ করে জরিমানা করা হবে। সঙ্গে প্রতি ওভারের জন্য এক পয়েন্ট করেও কাটা হবে। তবে এক ম্যাচে কোনো দলকে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশই জরিমানা করা হবে। আবার কোনো দল যদি প্রতিপক্ষকে ৮০ ওভারের মধ্যে একবার বা ১৬০ ওভারের মধ্যে দুবার অলআউট করতে পারে, তাহলে ওভার রেট বিবেচনায় আনা হবে না।
আইসিসি জানিয়েছে, এজবাস্টনে প্রথম টেস্টে দুই ওভার পিছিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে ৯ ওভার, ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৩ ওভার আর সিরিজের শেষ টেস্টে ৫ ওভার পিছিয়ে ছিল তারা। অন্যদিকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে অস্ট্রেলিয়া পিছিয়ে ছিল ১০ ওভার।
আইসিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ ফির মোট ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে ইংল্যান্ড প্রথম টেস্টে জরিমানা দেবে ১০ শতাংশ, দ্বিতীয় টেস্টে ৪৫ শতাংশ, চতুর্থ টেস্টে ১৫ শতাংশ ও পঞ্চম টেস্টে ২৫ শতাংশ।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের প্রথম সিরিজ শেষে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড দুই দলই পেয়েছে ২৮ পয়েন্ট। তবে জরিমানার পর অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ১৮ আর ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ৯। এই চক্রে এখন পর্যন্ত শীর্ষে আছে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-০ তে সিরিজ জয় করেছে তারা। এই চক্রে এখনও খেলা হয়নি বাংলাদেশের।