• 09 May, 2024

সেনাবাহিনীর হাতছাড়া হয়ে গেল সুদানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর

সেনাবাহিনীর হাতছাড়া হয়ে গেল সুদানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে সামরিক বাহিনীর সাথে দেশটির আধা-সামরিক বাহিনীর সংঘাত চলছে। চলমান এই সংঘাত সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ তীব্র রূপ নিয়েছে এবং সর্বশেষ সুদানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর নিয়ালার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে সেনাবাহিনী।

সৌদি আরবে আসন্ন শান্তি আলোচনার আগে এটি আধা-সামরিক বাহিনী আরএসএফের জন্য বড় বিজয় বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টানা কয়েক মাস লড়াইয়ের পর আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) সেনাবাহিনীর কাছ থেকে সুদানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর নিয়ালার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে একাধিক সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, আরএসএফ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর শহরের বাসিন্দারা উদযাপন করতে শুরু করেন। কারণ এর মাধ্যমে সহিংসতার অবসান ঘটবে বলে আশা করছেন তারা।

সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর মধ্যে এই যুদ্ধের ফলে ৬ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। শহরের হাসপাতালগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বহু লাশ রাস্তায় পড়ে আছে বলে জানা গেছে।

মূলত সুদানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের দখল নেওয়াটা আরএসএফের জন্য বেশ বড় অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ কিছুদিনের মধ্যেই সৌদি আরবে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করতে চলেছে যুদ্ধরত দুই পক্ষ।

এদিকে নিয়ালা শহরে নিজেদের পরাজয়ের বিষয়ে সুদানের সেনাবাহিনী কোনও মন্তব্য করেনি। সাউথ দারফুর প্রদেশের রাজধানী নিয়ালা মূলত বেশ কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর। এই শহরটিই সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের সঙ্গে সুদানকে সংযুক্ত করেছে।

 

বিবিসি বলছে, আরএসএফের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবদুলরহিম ডাগলো নিয়ালা শহরকে সেনাবাহিনীর হাত থেকে দখলের অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যদিও পশ্চিম দারফুরে জাতিগত নির্মূলে অভিযুক্ত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শহর দখল করার পর থেকে আরএসএফ যোদ্ধারা সেখানে বেসামরিক বাড়িঘরে লুটপাট ও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।