রোববার আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস (৮ সেপ্টেম্বর) উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।
কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত বিবৃতি নেতারা বলেন, গত বছর পরিচালিত আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ৷ নানা বৈষম্য ও দারিদ্রের কারণে সর্বজনীন শিক্ষার যে লক্ষ্য, তা এখনো সুদূরপরাহত। ২০২৩ সালে প্রকাশিত প্রায়োগিক সাক্ষরতা নিরূপণ জরিপে দেখা গেছে, ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সের ২৭.০৩ শতাংশ শিশু এখনো কোনো ধরনের প্রায়োগিক শিক্ষা পায়নি, যদিও দেশে ১৯৯৩ সাল থেকে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক৷
নেতারা আরও বলেন, সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি, সাক্ষরতা অভিযান, অবৈতনিক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা এবং কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষার প্রসারে সরকার বিভিন্ন সময়ে নানামুখী কর্মসূচি ঘোষণা করলেও বাস্তব প্রয়োগে ঘাটতি থাকায় সাক্ষরতার হারে কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি সম্ভব হয়নি। দুর্নীতি ও সঠিক পরিচালনার অভাবে সাক্ষরতা বৃদ্ধির কার্যক্রম ফলপ্রসূভাবে বাস্তবায়নও হচ্ছে না। এ প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আমাদের জন্য একটি অনুস্মারক যে, আমাদের এখনো অনেক দূর যেতে হবে।
শিবির সভাপতি-সেক্রেটারি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সাক্ষরতা বৃদ্ধির জন্য শুধু সরকার নয়, বরং আমাদের প্রত্যেকের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সরকারি ও বেসরকারি নানা উদ্যোগের মধ্য দিয়ে শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন সম্ভব। আমরা এই লক্ষ্য অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাব এবং শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাব।
উল্লেখ্য, আজ ৮ সেপ্টেম্বর, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। ১৯৬৬ সালের ২৬ অক্টোবর জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোর ১৪তম সাধারণ সম্মেলনে ৮ সেপ্টেম্বর 'আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস' হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো প্রতিবছর এই দিনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করে আসছে।