• 01 May, 2024

রোগীদের বিদেশ নির্ভরতা অনেকটাই কমে গেছে : বিএসএমএমইউ ভিসি

রোগীদের বিদেশ নির্ভরতা অনেকটাই কমে গেছে : বিএসএমএমইউ ভিসি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উন্নতমানের বিভিন্ন চিকিৎসায় রোগীদের বিদেশ নির্ভরতা অনেকটাই কমে এসেছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

 তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা পরপর দুটি সফল কাডাভারিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট, লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করেছি। আমরা প্রতিনিয়ত কিডনি প্রতিস্থাপন, শিশু কিডনি প্রতিস্থাপন, জোড়া শিশু আলাদা, বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ও টেস্ট টিউব বেবি’র জন্ম দেওয়ার মতো সর্বাধুনিক চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। এতে করে রোগীদের বিদেশ নির্ভরতা অনেকটা কমেছে।

রোববার (১০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লক অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশের ক্যান্সারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ‘সেমিনার অন : ক্যান্সার সিচুয়েশন অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক মাসিক সেন্ট্রাল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশে সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি আমাকে বার বার বলেছেন, দেশের রোগীরা যাতে বিদেশে চিকিৎসার জন্য না যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তার নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি এনেছি ও তা প্রয়োগ করেছি।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে ক্যান্সার রোগীর কোনো ডাটা নেই। আমাদের দেশে ক্যান্সারের কোনো স্ক্রিনিং করা হয় না। আজকের সেমিনার থেকে আমার একটাই চাওয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনকোলজি বিভাগকে ক্যান্সার বিভাগসহ, অকুলার অনকোলজি, আই, ইএনটি, সার্জিক্যাল অনকোলজি, গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজিসহ সব বিভাগে ক্যান্সার রোগীদের রেজিস্ট্রি করার দায়িত্ব নিতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সার চিকিৎসার সর্বাধুনিক লিনিয়াক মেশিন, পেট স্ক্যান মেশিন ক্রয় করার ফান্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ভবিষ্যতে ক্যান্সার চিকিৎসায় সাইবার নাইফ, গামা নাইফ, গামা সার্জারি, রেডিও সার্জারি করা যায় এসব বিষয় তরুণ ক্যান্সার চিকিৎসকদের মাথায় রাখতে হবে।

বিএসএমএমইউ ভিসি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এফ-ব্লকে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের জায়গা পড়েছিল। সে জায়গায় হেমাটোলিজ বিভাগকে দিয়ে এরইমধ্যে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়েছে। এখানে মাত্র তিন লাখ টাকায় বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা যায়। বাংলাদেশে অন্য হাসপাতালে ২০ লাখ টাকা বাইরে যা ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়। হেমাটোলোজি বিভাগ দিয়ে আমরা এ টাকা বাঁচাতে পেরেছি ক্যান্সারের জন্য টার্গেটেড থেরাপি করতেই হবে। কারণ অনেকেই এক সঙ্গে ১২টি থেরাপি দেয় তাতে কোনোটায় রোগী ভালো হয়, কোনোটিতে রোগী মারা যায় তা বোঝা যায় না।

অনুষ্ঠানে প্যানেল অব এক্সপার্ট হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, অনকোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ্সহ বিভিন্ন বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রাল সাব কমিটির চেয়ারম্যান ও মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন হৃদ্‌রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফয়সাল ইবনে কবির। সেমিনারে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, কনসালটেন্ট, চিকিৎসক ও রেসিডেন্টরা উপস্থিত ছিলেন।