গতকাল সকালে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে তিনি এ আহ্বান জানান। সাক্ষাৎ শেষে দুপুরে ঢাকা থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হন সের্গেই ল্যাভরভ।
এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন ল্যাভরভ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। সেখানে তিনি পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লেখেন। পরিদর্শন বইয়ে ল্যাভরভ লিখেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করে আনন্দিত। দেশের স্বাধীনতার জন্য একজন যোদ্ধা হিসেবে আমরা তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্মরণ করি। সোভিয়েত ইউনিয়ন তাঁর লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা করেছে এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন হচ্ছে প্রথম দিকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর অন্যতম। অভিন্ন ইতিহাস ও দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থে বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে তারা লালন করেন। ল্যাভরভ দুই দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন। এটি স্বাধীনতার পর রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যাভরভকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বিমানবন্দর থেকে ল্যাভরভ সরাসরি ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এসে মোমেনের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। পরে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের প্রতিনিধি দল নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তারা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। এই সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ বাংলাদেশের প্রতি তার দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চাপের পরও জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন তিনি। ল্যাভরভ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশীদার বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিকসহ সর্বস্তরে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী রাশিয়া। গতকাল দুপুর ১টা ২০ মিনিটে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন সের্গেই ল্যাভরভ। বাংলাদেশ সফর শেষে নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।