বিশ্বকাপের পর্দা উঠতে না উঠতেই শেষ হলো প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ। অংশগ্রহণকারী ১০ দলই খেলে ফেলেছে নিজেদের প্রথম ম্যাচ।
অপ্রত্যাশিত কোন ফলাফল না এলেও পয়েন্ট টেবিল কিছুটা হলেও চমকের আভাস দিয়ে রেখেছে এবারের আসর। প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে আছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এর ঠিক উপরেই আছে ৯৬ এর বিশ্চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা।
দুই দলেরই রানরেট ঋণাত্মক দুইয়ের ঘরে। পরের ম্যাচে শুধু জয় না, বড় ব্যবধানের জয় প্রত্যাশা করবে দুই দলই। যদিও কাজটা সহজ নয় কারোর জন্য। ইংলিশদের প্রতিপক্ষ ফুরফুরে মেজাজে থাকা বাংলাদেশ। আর লঙ্কানরা মাঠে নামবে শিরোপাপ্রত্যাশী পাকিস্তানের বিপক্ষে। দুটি ম্যাচই হবে আগামীকাল মঙ্গলবার।
পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা শক্ত অবস্থানেই আছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় দুই পয়েন্টের পাশাপাশি বাংলাদেশকে নিট রানরেটেও শক্ত ভিত দিয়েছে। টাইগারদের বর্তমান অবস্থান ৪ আর নিট রানরেট ১.৪৩৮। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় তাদের অবস্থানকে আরও বেশি শক্ত করবে।
#
দল
ম্যাচ
জয়
হার
ড্র
পরিত্যক্ত
নেট রানরেট
পয়েন্ট
১
নিউজিল্যান্ড
১
১
০
০
০
২.১৪৯
২
২
দক্ষিণ আফ্রিকা
১
১
০
০
০
২.০৪০
২
৩
পাকিস্তান
১
১
০
০
০
১.৬২
২
৪
বাংলাদেশ
১
১
০
০
০
১.৪৩৮
২
৫
ভারত
১
১
০
০
০
০.৮৮৩
২
৬
অস্ট্রেলিয়া
১
০
১
০
০
-০.৮৮৩
০
৭
আফগানিস্তান
১
০
১
০
০
- ১.৪৩৮
০
৮
নেদারল্যান্ড
১
০
১
০
০
-১.৬২
০
৯
শ্রীলঙ্কা
১
০
১
০
০
- ২.০৪০
০
১০
ইংল্যান্ড
১
০
১
০
০
-২.১৪৯
০
পাঁচে থেকে বাংলাদেশের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ভারত। অজিদের বিপক্ষে জয় পেলেও নিট রানরেটে (০.৮৮৩) বাংলাদেশ থেকে কিছুটা পিছিয়েই আছে তারা। বাংলাদেশ যদি পরের ম্যাচ জেতে তবে এই রানরেটই হতে পারে ভারতের মাথাব্যাথার কারণ।
তালিকার শীর্ষে আছে নিউজিল্যান্ড। তাদের নেট রানরেট ২.১৪৯। আর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বড় জয়ে এই ব্যবধান আরও খানিকটা বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টায় আছে কিউইরা। দুইয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের রানরেট ২.০৪০। প্রোটিয়াদের পরের ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ২০২৫ আসর পাকিস্তানে আয়োজন নিয়ে এখনও দোলাচল কাটেনি। যার নেপথ্যে দেশটিতে গিয়ে ভারতের খেলতে না চাওয়া। ভারত এই টুর্নামেন্টও হাইব্রিড মডেলে খেলতে চায় বলে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে কিছুদিন আগে জানিয়েছিল সংবাদসংস্থা আইএএনএস। তবে এর মাঝেও পাকিস্তান নতুন প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছে। তারা ভারতের সব ম্যাচ লাহোরের এক ভেন্যুতেই আয়োজন করতে চায়।
আরিয়ান রোবেন যাবার আগে বায়ার্ন মিউনিখের আক্রমণে ডানপাশের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন তরুণ জার্মান তারকা সার্জ ন্যাব্রির ওপর। ন্যাব্রি সেই দায়িত্বে খুব যে সফল তা নন, তবে একেবারে ব্যর্থও না। এখনো বায়ার্ন মিউনিখের আক্রমণের অনেকটা তার ওপরেই নির্ভর করছে। বামপাশে লেরয় সানে, ডানে সার্জ ন্যাব্রি আর মাঝে হ্যারি কেইন। যেকোনো দলকে ভয় ধরিয়ে দিতে এই তিনজনের নাম যথেষ্ট।