চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় দিনই ব্যাটিং ব্যর্থতায় ব্যাকফুটে চলে যায় সফরকারী বাংলাদেশ। তারা ১৪৯ রানে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যাওয়ায় ২২৭ রানের লিড পেয়ে যায় ভারত। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে পান্ত ও শুভমান গিল দুজনেই সেঞ্চুরি করে তোলেন ২৮৭ রান। ফলে বাংলাদেশের সামনে স্বাগতিকরা ৫১৫ রানের অসম্ভব এক লক্ষ্য দাঁড় করায়।
প্রতিপক্ষকে চেপে ধরার মুহূর্তে স্বাভাবিকভাবেই খোশ মেজাজে ছিলেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার পান্ত। তৃতীয় দিন তিনি আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ফিফটি পূর্ণ করার পর ছুঁটছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তারই এক ফাঁকে দেখেন যে লেগসাইডে বাংলাদেশের কোনো ফিল্ডার নেই। তখন পান্ত ডেকে বলেন, ‘ভাই একজন ফিল্ডার এখানে আসতে হবে।’ আশ্চর্যজনকভাবে তার সেই পরামর্শ মেনে শান্ত মাঠে ফিল্ডারের অবস্থান পরিবর্তনও করেন। সেখানে ফিল্ডার পাঠানো দেখে ধারাভাষ্যকাররাও চমকে যান।
শেষ পর্যন্ত ভারতীয় এই ব্যাটারের ইনিংস থামে ১০৯ রানে। ১২৮ বলের ইনিংসে তিনি মেরেছেন ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কার বাউন্ডারি। লাল বলের ফরম্যাটে এটি পান্তের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। এর মধ্য দিয়ে তিনি ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৬টি সেঞ্চুরি করা মহেন্দ্র সিং ধোনির (১৪৪ ইনিংস) রেকর্ডে তিনি ভাগ বসিয়েছেন। এতদিন উইকেটরক্ষক হিসেবে টেস্টে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি ছিল সাবেক এই অধিনায়কের। এক্ষেত্রে পান্তের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিটি দ্রুততম (৫৮ ইনিংস)।
পান্তের মতো বাংলাদেশের ফিল্ডিং সাজানোর ঘটনা আগে একবার ঘটিয়েছেন সাবেক ভারত অধিনায়ক ধোনি। ২০১৯ বিশ্বকাপে দুই দলের ম্যাচে তিনি সাব্বির রহমানকে তার ট্র্যাকে থামিয়ে দিয়েছিলেন এবং তাকে বামদিকের স্কয়ার-লেগ ফিল্ডারকে সরাতে বলেছিলেন। পরে সাব্বির আর দ্বিতীয়বার চিন্তা পর্যন্ত করেননি এবং ফিল্ডারকে সরানোর আগে সেই সময়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকেও জিজ্ঞাসা করেননি।
এদিকে, চলমান চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসেও বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক লিটন দাসের সঙ্গে বাক্য বিনিময় করতে দেখা যায় পান্তকে। সে সময় ভারতীয় এই ব্যাটারকে ক্রিজের বাইরে দেখে বল ছুঁড়ে মারেন বাংলাদেশের এক ফিল্ডার, বল তার গায়ে লেগে আরেকদিকে মোড় নিলে রান নিয়ে নেন পান্ত-যশস্বী জয়সওয়াল। পরে বিষয়টি নিয়ে লিটন বিরক্তি দেখালে পান্ত তার উদ্দেশ্যে বলেন– ‘ওকে জিজ্ঞেস করো কেন আমার গায়ে বল মেরেছে?’ পরে লিটন জবাব দেন– ‘তার তো বল ছুঁড়তেই হতো।’ এরপর বিষয়টি সেখানেই থেমে যায়।