‘মাসুদ রানা’ চরিত্রে কাজ স্বপ্নের মতো ছিল জানিয়ে অনন্ত বলেন, “মাসুদ রানা সিরিজে কাজ করা আমার নিজেরও স্বপ্ন ছিল। দেশে যখন থেকে কাজ করি, অনেকেই আমাকে বলত বাংলার জেমস বন্ড। এই যে ‘চিতা’ ছবিতে আমি কাজ করছি, এটা কিন্তু সাংবাদিকরাও জানতেন না। অথচ জাজের ঘোষণার পর থেকে ফেসবুকে অনেকেই কমেন্ট করেছে, বাংলার জেমস বন্ড অনন্ত জলিল। এজন্য আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। প্রায় নাইন্টি ফাইভ পারসেন্ট কমেন্ট আমাকে নিয়ে করেছে।”
এই নায়ক আরও বলেন, এর আগে মাসুদ রানার গল্পে ‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’ নির্মাণ করেছিল জাজ মাল্টিমিডিয়া। সিনেমাটিতে হলিউড-বলিউডের তারকারা অভিনয় করেছিল। এবার দেশের তারকারাও থাকবে। সিনেমাটি শুরুর আগে আজিজ ভাইয়ের কাছে তিনটি জিনিস চেয়েছিলাম- প্রেম থাকবে, কমেডি থাকবে আর মাসুদ রানার গল্প অ্যাকশন তো থাকবেই। সবকিছু মিলে যাওয়ায়
অনন্ত জলিলের সঙ্গে এই সিনেমায় থাকছেন তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা বর্ষা। তিনি বলেন, ২০১২ সালে ‘খোঁজ দ্যা সার্চ’ সিনেমার মহরতে বুঝতে পারছিলাম না কী বলব? আজও সেই একই অনুভূতি হচ্ছে। সবাই বলছে, চিতা সিনেমার জন্য অনেক কষ্ট করতে হবে আমাকে। যেহেতু জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিনেমা, তো ভালো সিনেমাই হবে। ভালো হতেই হবে কারণ, এটা মাসুদ রানার গল্প, যাকে বলা হয় বাংলার জেমস বন্ড। যখন শুনলাম চিতা সিনেমাটি আমি করতে যাচ্ছি তখন নীলক্ষেত থেকে ‘চিতা’ বইটি এনে পড়েছি। পাশাপাশি এই সিরিজের ‘হ্যালো সুহানা’ গল্পটিও আমার ভালো লেগেছে। আশা করব এই সিনেমাটিও আমাকে নিয়ে নির্মাণ করবে।
জানা যায়, সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে আগামী মে মাসে। শুটিংয়ের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামকে। সিনেমায় আরও দেখা যাবে নাদের চৌধুরী, সাঞ্জু জন, মিস্টার রবার্টসহ অনেককেই।
এর আগে কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় ‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’ সিনেমাটি।
গেল বছর ২৫ আগস্ট মুক্তি পায় ‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’। এতে মাসুদ রানা চরিত্রে দেখা যায় এবিএম সুমনকে। এছাড়াও হলিউড ও বলিউডের বেশ কয়েকজন তারকা অভিনয় করেছিলেন। ৮৩ কোটি বাজেটে নির্মিত এই সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য পায়নি।