শুক্রবার (৬ জুন) পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন ৩৬ বছর বয়সী লেগ স্পিনার। সামাজিক মাধ্যমে ক্যারিয়ারের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো ছবিসহ বিশদ বার্তায় নিজের সিদ্ধান্ত জানান ভারতের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জয়ী চাওলা।
লিখেছেন “ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করা থেকে শুরু করে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলে থাকা- এই অসাধারণ যাত্রার প্রতিটি মুহূর্ত ছিল এক আশীর্বাদ। যদিও আমি এখন সরে দাঁড়াচ্ছি, তবে ক্রিকেট সবসময় আমার সঙ্গে থাকবে। এই সুন্দর খেলার শিক্ষা ও চেতনা নিয়ে আমি এক নতুন যাত্রার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।”

বয়স বাড়লেও একেবারেই ঝিমিয়ে যায়নি পিযুশ চাওলার বোলিং। গত বছরের নভেম্বরেও সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে নিজের শেষ ম্যাচে হিমাচলের বিপক্ষে মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। উত্তর প্রদেশের জার্সিতে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সেটাই তার শেষ ম্যাচ হয়ে রইল। এরপর আইপিএলে দল না পাওয়ায় কাজ করেছেন বিশ্লেষক হিসেবে।
জাতীয় দলের হয়ে চাওলার শেষ ম্যাচ অবশ্য ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এরপর আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ভারতের জার্সিতে ৩ টেস্ট, ২৫ ওয়ানডে ও ৭ টি-টোয়েন্টিতে শেষ হলো তার ক্যারিয়ার।
চাওলার আইপিএল ক্যারিয়ারে অনেক দলেই খেলেছেন। পাঞ্জাব কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন। ১৯২ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১৯২টি। টুর্নামেন্টে ৪র্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনিই। ১৩৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তার শিকার ৪৪৬ উইকেট। এছাড়া, সাদা পোশাকে দুই সংস্করণ মিলিয়ে তার ঝুলিতে আছে মোট ৫৭৩ উইকেট।
৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে চাওলার সবচেয়ে বড় অর্জন ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ।