যেখানে ছিল বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমানও। প্রথমবারের মতো তাকে দলে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে)। মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ার বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত ছিল এবং এর কারণও জানিয়েছে দলটির প্রধান নির্বাহী।
এর আগে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত নিলামের একেবারে শেষদিকে ২৮ বছর বয়সী পেসারের নাম তোলা হয়। যেখানে তার ভিত্তি মূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। নিলামে তার জন্য শুরুতেই বিট করে চেন্নাই। তবে আর কোনো দল আগ্রহ না দেখানোয় ওই ভিত্তিমূল্যেই বাংলাদেশি এই পেসারকে পেয়েছে ধোনির দল। সবমিলিয়ে বেশ শক্তিশালী স্কোয়াড পেয়েছে চেন্নাই, ফলে তাদের একাদশে ফিজ জায়গা পাবেন কি না তা নিয়েও আলোচনা চলছে। সম্প্রতি ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর দেওয়া সম্ভাব্য একাদশে নাম ছিল না তার।
তাদের একাদশে পেসার হিসেবে রাখা হয়েছে তিনজনকে। ভারতীয় পেসার দীপক চাহার ছাড়াও বিদেশি কোটায় আছেন মাথিশা পাথিরানা। এছাড়া দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে থাকছেন তুষার দেশপান্ডে। সে হিসেবে ফিজের একাদশে থাকাটা আটকে আছে যদি-কিন্তু’র হিসাবে। তবে চেন্নাইয়ের স্লো-পিচের হোম কন্ডিশন তার পক্ষেই কথা বলে। দলটির নির্বাহী কেএস বিশ্বনাথনের কণ্ঠেও তেমন সুরই শোনা গেছে।
গতকাল (শনিবার) চেন্নাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে তার কাছে সাম্প্রতিক নিলাম নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। সেখানে মুস্তাফিজের কথা উল্লেখ করে বিশ্বনাথন বলেন, ‘আমি বলব যে যাদেরকে নেওয়ার লক্ষ্য আমাদের ছিল, তাদের প্রায় সবাইকেই পেয়েছি। সত্যি বলতে, মিচেলকে (নিউজিল্যান্ডের ড্যারিল মিচেল) নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা ছিল। আমাদের আরও মনে হয়েছে, মাঠের দুই পাশের সীমানা বিবেচনায় নিয়ে চিপকের উইকেটে মুস্তাফিজ ভালো একটি পছন্দ হতে পারে।’
একইসঙ্গে সিএসকের প্রত্যাশা অনুযায়ী নিলাম হয়েছে বলেও মত প্রধান নির্বাহীর, ‘আমাদের ভাবনায় এসব ছিল, কিন্তু আমরা নিশ্চিত ছিলাম না যে তাদেরকে পাব কিনা। সৌভাগ্যবশত, এবারের নিলাম ভালো কেটেছে আমাদের জন্য।’
২০১৬ অভিষেক আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা ছিল মুস্তাফিজের। মাত্র ৬.৯০ ইকোনমি রেটে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট। পেয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি, যা আইপিএল ইতিহাসে একমাত্র অ-ভারতীয় হিসেবে এই পুরস্কার জয়ের কীর্তি। আইপিএলে চেন্নাই মুস্তাফিজের পঞ্চম ফ্র্যাঞ্চাইজি। এর আগে আরও চারটি দলে খেলেছেন তিনি। গত আসরে ফিজ দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছিলেন। যদিও সুযোগ পেয়েছিলেন মোটে দুটি ম্যাচে।
এএইচএস