কিন্তু মিরপুর আর হোম টেস্টের হিসেবে বাংলাদেশকে এক প্রকার লজ্জাই দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপের ৭ ব্যাটার আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরে। দুই অঙ্কের ঘরে গিয়েছেন কেবল মাহমুদুল হাসান জয়, তাইজুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ এবং মুশফিকুর রহিম। এমন দিনে বেশকিছু লজ্জার রেকর্ডও দেখেছে বাংলাদেশের এই দলটি।
মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোরের তালিকায় ২য় স্থানে আছে ১০৬ রানের এই ইনিংস। এরচেয়ে কমে আউট হয়েছিল ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৭ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার ১০৬ রান পেছনে ফেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১০ রান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১১১ রানে অলআউটের নজির।
ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন স্কোরের বিচারে ৫ম স্থানে আছে আজকের এই ইনিংস। পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল ২০২১ সালে। ২০০২ সালে সমান স্কোর ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০০৩ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ করেছিল ১০২ রান। সেটাও দক্ষিণ আফ্রিকারই বিপক্ষে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ছিল ৯১ রান করার নজির। এই চার স্কোরের পরেই আছে ১০৬ রানের এই ইনিংস।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ৫ম সর্বনিম্ন স্কোর। তবে এর আগে কখনোই প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এত কম রানে আউট হতে হয়নি বাংলাদেশকে। এর আগে ৫৩, ৮০, ৯০ ও ১০২ রানে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশের অলআউট হওয়ার নজির আছে।
৬
বিগত ১০ বছরে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে টেস্টে ১০৬ রানের আগে অলআউটের নজির আছে ৫ বার। বাংলাদেশের আজকের সংগ্রহ সেই হিসেবে আছে ষষ্ঠ স্থানে। নাজমুল শান্তর আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্তটা যেভাবে বুমেরাং হয়ে এসেছে তা নাম উঠিয়েছে লজ্জার কীর্তিতে।