যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত। দুই কূটনৈতিকই যুব ও ক্রীড়া উভয় খাতে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও জোরদারের নানা আলোচনা করেন।
বাংলাদেশকে সৌদি আরবের ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেন, 'সৌদি সরকার যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চায়। বাংলাদেশ স্পোর্টস এ অনেক ভালো করছে। বিশেষ করে ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল। ক্রিকেটের উন্নয়নে বাংলাদেশ সৌদি আরবকে সহযোগিতা করতে পারে। একইভাবে সৌদি আরবও বাংলাদেশকে ফুটবল, আর্চারী, ব্যাডমিন্টনে সহযোগিতা করতে পারে। যার ফলে উভয় দেশের জনগনই উপকৃত হবে।' সৌদি সরকার বাংলাদেশে ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তত শিল্পেও বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে উভয় দেশের মধ্যে অচিরেই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলে ক্রীড়ার উন্নয়নে উভয় দেশের দক্ষ অভিজ্ঞ খেলোয়াড় কোচ ও কর্মকর্তা বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় দেশ উপকৃত হবে। পারস্পারিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। সৌদি উন্নয়ন সহায়তা ফান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন স্পোর্টস অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে। এছাড়াও যুব বিনিময় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হবে। যুবকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি ক্রীড়া, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করার উপর গুরুত্বারোপ করা হবে।'
সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের পরপরই সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মোহাম্মদ হাশিম। যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী পাপন মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, 'মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের ও বহুমাত্রিক। স্বাধীনতার পরপরই মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। তাছাড়া দেশটি বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির একটি বড় বাজার। আমরা প্রতিবছর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রায় ৩ লক্ষ তরুণকে আধুনিক ও কারিগরি বিভিন্ন প্রশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রুপান্তর করছি।'
মন্ত্রীর এ সকল প্রস্তাবনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার। তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে বিশ্বে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মালয়েশিয়া সরকারও বাংলাদেশের সাথে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন এর পাশাপাশি যুব ও ক্রীড়ার সাথে কাজ করতে আগ্রহী। এ সকল সহযোগিতার মাধ্যমে দু'দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।'
সাক্ষাৎকালে যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ সহ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ মালয়েশিয়া ও সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।