• 05 May, 2024

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল সুবিধা বাড়ল

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল সুবিধা বাড়ল

সবুজ অর্থায়ন খাতে বিনিয়োগের জন্য গত বছর ৪০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই তহবিল থেকে ঋণ প্রাপ্তির পরিমাণ বাড়ানো, সুদহার কমানোসহ বেশ কিছু সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক সার্কুলারে এ তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগের সার্কুলারটি পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে এ-সংক্রান্ত নতুন এক সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগ।


সার্কুলারে বলা হয়েছে, আগের নীতিমালা অনুযায়ী, সাশ্রয়ী গ্রিন হাউজিং লোন সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য নেওয়া যেত। এখন এর মেয়াদ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে পরিবেশবান্ধব পণ্য, প্রকল্প বা উদ্যোগের জন্য গঠিত পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে ৫ শতাংশ সুদে ২০ বছর মেয়াদে সাশ্রয়ী গ্রিন হাউজিং লোন মিলবে।

প্রি-সার্টিফায়েড হলেই এখন থেকে গ্রিন ইন্ডাস্ট্রি, গ্রিন বিল্ডিং, গ্রিন ফিচারিং বিল্ডিং বা এফোর্ডেবল গ্রিন হাউজিং লোন পাওয়া যাবে রিফাইন্যান্স স্কিমটি থেকে। আগে চূড়ান্ত সনদ পাওয়ার পর এসব ঋণের জন্য আবেদন করতে হতো।

এ ছাড়া ব্যাংক ও গ্রাহক পর্যায়ে সুদহারও কমানো হয়েছে। এখন থেকে কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১ শতাংশ সুদ নেবে, আগে এটি ৩ শতাংশ ছিল। গ্রাহকদের ঋণের সময়সীমার ওপর ভিত্তি করে ৫-৬ শতাংশ সুদ দিতে হতো। এখন সব মেয়াদি ঋণেই ৫ শতাংশ সুদ দিতে হবে। তবে সরকারি অগ্রাধিকার খাত হিসেবে কৃষি খাতের ‘সোলার ইরিগেশন পাম্প’ প্রোডাক্টের ঋণের বিপরীতে সুদ দিতে হবে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ।

আগের নীতিমালায় বিভিন্ন পণ্যের বিপরীতে স্কিম থেকে ঋণ পাওয়ায় সর্বোচ্চ সীমা ছিল। নতুন সার্কুলারে এই সীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, যৌক্তিকতা থাকলে ৭০ পণ্যের বিপরীতে যে কোনো অঙ্কের ঋণ নেওয়া যাবে।

তবে নতুন নীতিমালায় ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকের বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। আগে ১০০ টাকার বিনিয়োগে ৮০ টাকা ঋণ পাওয়া যেত। গ্রাহককে ২০ টাকা বিনিয়োগ করতে হতো। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, একই পরিমাণ বিনিয়োগে ঋণ পাওয়া যাবে ৭০ টাকা। অর্থাৎ গ্রাহককে বিনিয়োগ করতে হবে ৩০ টাকা। আগে ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ৬-১৮ মাস ছিল, নতুন নির্দেশনায় সেটিকে সর্বোচ্চ ১২ মাস করা হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো এই পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে কোনো শর্ত ছাড়াই ঋণ দিতে পারবে। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তহবিল থেকে ঋণ নিতে খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নিচে হতে হবে। এই শর্তটি আগের সার্কুলারে ছিল না।

নতুন সার্কুলার অনুযায়ী, পরিবেশবান্ধব পণ্য, প্রকল্প বা উদ্যোগের অধীনে ৭০ পণ্যের বিপরীতে এসব ঋণ নেওয়া যাবে। আগে এটি ছিল ৬৮টি। নতুন করে লিথিয়াম ব্যাটারি ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট এবং জুট প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি নামে দুটি প্রোডাক্ট যুক্ত করা হয়েছে। আগে বিভিন্ন প্রোডাক্টে ভিন্ন ভিন্ন ঋণের মেয়াদ থাকলেও নতুন সার্কুলারে সব ধরনের পণ্যে ৩-১০ বছরের জন্য ঋণ দেওয়া হবে।