প্রাণীদের স্বাস্থ্য ও মঙ্গলের জন্য আমাদের অবশ্যই সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, কারণ তাদের টিকে থাকার ওপর মানবের টিকে থাকা ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
সোমবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর পরিবেশ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি রয়েছে এমন নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ, কর্মকর্তা এবং স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে জানার জন্য সরকার এ ধরনের সেশনের আয়োজন করছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের নীতি এবং কৌশল গঠনে তাদের জ্ঞান এবং দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এখানে প্রাপ্ত ধারণা এবং প্রতিশ্রুতিগুলো নিঃসন্দেহে আমাদের জাতির এবং তার বাইরের জন্য আরও টেকসই ভবিষ্যতের পথ তৈরি করবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বাস্তুতন্ত্রকে ব্যাহত করে, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করে এবং বায়ু, পানি ও মাটির গুণমানকে প্রভাবিত করে দূষণের মাত্রা আরও খারাপ করে। এর ফলে, মানুষের স্বাস্থ্য এবং সব জীবের স্বাস্থ্যের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। আমাদের পরিবেশের স্বাস্থ্য সরাসরি আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর বন্দনা শাহ প্রমুখ।