অন্যদিকে তাদের এই সমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণা দেয় ফ্যাসিবাদী বিরোধী ছাত্র-শ্রমিক জনতার ঐক্য। উভয়পক্ষের এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ওই এলাকায় সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। যার পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পক্ষই তাদের কার্যক্রম স্থগিত করে।
শনিবার (২ নভেম্বর) কাকরাইল জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে সামনে গিয়ে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞা কারণে দলীয় কার্যালয়ের দুই পাশে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আর জাপার ১০-১৫ জন নেতাকর্মী তাদের কার্যালয়ে সামনে অবস্থান নিয়েছে। যদিও এসব নেতাকর্মীরা কেউ জাতীয় পার্টির পরিচিত মুখ কিংবা কেন্দ্রীয় নেতা নয়। তবে, সেখানে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনকারীদের কাউকে দেখা যায়নি।
এদিকে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাস্তার পাশে রাখা হয়েছে পুলিশ জলকামানসহ বিক্ষোভ দমনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি। আর জাপার কার্যালয়ের প্রবেশ মুখে ২ পাশে রাখা হয়েছে পুলিশ অস্থায়ী ব্যারিকেড।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-শ্রমিক ব্যানারে একদল লোক জাপার কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কার্যালয়ে সামনে এখনও পড়ে আছে ভাঙা কাচ। কার্যালয়ের নিচতলার পুড়ে যাওয়া বিক্রয় কেন্দ্র এখনও আগের মতোই আছে। আর কার্যালয়ে ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে আছে ভাঙা চেয়ারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র।
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে সামনে কথা হয় দলটির কর্মী আব্দুল ওয়াহাবের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের দলের অনেক আওয়ামী লীগ সরকারের দালাল আছে। তাদের দল থেকে বের করে দেওয়া দরকার। কিন্তু আমাদের দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের সব সময় কোটা সংস্কার পক্ষে ছিলেন। রংপুরে দলের নেতাকর্মীরাও কোটা সংস্কারের পক্ষে ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, তারপর আজকে আমাদের অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে। যেদিন এই দেশ বৈষম্য মুক্ত হবে সেইদিনই এই কার্যালয়ে সংস্কার হবে।