বৃহস্পতিবার সেখানে পৌঁছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠক করেছেন তিনি। এ সময় মার্কিন এই শীর্ষ কূটনীতিক হামাসের সাথে যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে আছে এবং আরও সামরিক সহায়তা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
বৈঠক শেষে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্লিনকেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শান্তি ও ন্যায়বিচার যারা চান, তাদের অবশ্যই হামাসের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানাতে হবে।
ব্লিনকেন বলেন, ‘হামাসের একটাই এজেন্ডা আছে— ইসরায়েলকে ধ্বংস এবং ইহুদিদের হত্যা করা।’ তবে এই যুদ্ধে প্রত্যেক জাতির বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি অবশ্যই এড়াতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
মার্কিন এই পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি এড়াতে সম্ভাব্য সব সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই আমরা প্রত্যেক বেসামরিকের প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, সমগ্র বিশ্বের জন্য ‘অবিশ্বাস্য এক কঠিন’ মুহূর্তে সবাই ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানোয় তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, ‘নিহত পরিবারগুলোর ছবি দেখা আমার পক্ষে অসম্ভব… এবং আমি আমার নিজের সন্তানদের কথা ভাবছি না।
‘শিশুদের হত্যা, মৃতদেহ অপবিত্র করা, যুবকদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারা, নারীদের ধর্ষণ, বাবা-মাকে তাদের সন্তানদের সামনে, শিশুকে তাদের বাবা-মায়ের সামনে হত্যা করা হচ্ছে।’
এ সময় ইসরায়েলি নাগরিকদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি ইসরায়েলের কাছে যে বার্তাটি নিয়ে এসেছি তা হল নিজেদের রক্ষা করার জন্য ইসরায়েল যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে যতদিন আমেরিকা থাকবে ততদিন আপনাকে একা লড়াই করতে হবে না।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।