দেশটির প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অধিকার ফিলিস্তিনিদের রয়েছে। কারণ ইসরায়েলিরা হলো দখলদার। তারা অবৈধভাবে ফিলিস্তিনি অঞ্চল দখল করে রেখেছে।
মা জিনমিন নামের চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন বিষয়ক এই পরামর্শক আদালতকে বলেছেন, “আত্মরক্ষার অধিকার হিসেবে— বিদেশি দখলদারদের হটাতে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায়, ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগ্রামের অধিকার রয়েছে।”
তিনি আরও বলেছেন, “বিশ্বের অনেক দেশ সশস্ত্র প্রতিরোধের মাধ্যমে বিদেশি দখলদারদের হটিয়েছে। ইসরায়েলিদের ওপর ফিলিস্তিনিদের হামলা কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম নয়— এটি তাদের সশস্ত্র সংগ্রামের অধিকার।”
“ঔপনিবেশিকদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ও আত্মরক্ষার্থে বিভিন্ন সময় সশস্ত্র প্রতিরোধসহ সব ধরনের পদ্ধতিতে একাধিকবার বৈধতা দেওয়া হয়েছে।” যোগ করেন এই চীনা কর্মকর্তা।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর পশ্চিমতীরসহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে নেয় ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় ৫০ বছর ধরে তাদের দখলদারিত্বেই রয়েছে অঞ্চলগুলো।
ইসরায়েলিরা শুধুমাত্র ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলো দখল করেই ক্ষান্ত থাকেনি। তারা সেসব জায়গায় অবৈধ বসতিও গড়ে তুলেছে। এসব বসতিতে যেসব ইসরায়েলি থাকেন তারা প্রায়ই ফিলিস্তিনিদের হামলার মুখে পড়েন।
বিশ্বের প্রায় সব দেশ ইসরায়েলকে তাদের দখলদারিত্বের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানালেও; আন্তর্জাতিক আদালতে গতকাল ইসরায়েলের পক্ষে কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলেছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার কথা বিবেচনা করে— ইসরায়েলি সৈন্যদের যেন দখলকৃত স্থানগুলো ছেড়ে দেওয়ার কোনো নির্দেশনা আদালত না দেন। এছাড়া এ বিষয়টিকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের দ্বিপক্ষীয় বিষয় হিসেবেও অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আর মার্কিনিদের এমন আবদারের পরের দিনই চীন বলেছে, দখলকৃত স্থানগুলোতে ইসরায়েলের আত্মরক্ষা বলতে কিছু নেই। কারণ তারা হলো সেসব স্থানের দখলদার। অপরদিকে ফিলিস্তিনিরা হলো এসব ভূখণ্ডের মালিক। ফলে বিদেশি দখলদারদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল