যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এমন নির্দেশনা দিয়েছে ইউরোপের এই দুই দেশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
তেহরানে হানিয়ার মৃত্যুর পর ইসরাইলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। অন্যদিকে এই দুই হত্যাকান্ডের বদলা নিতে ইসরাইলকে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহও।
বৃহস্পতিবার সামাজিকমাধ্যম এক পোষ্টে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন লিখেছেন, ‘সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন ভ্রমণের বিষয়ে কঠোর পরামর্শ জানাচ্ছে। এখন থেকে উভয় দেশে সব ভ্রমণের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তটি গুরুত্ব সহকারে নিন। মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি গুরুতর এবং দ্রুত খারাপ হতে পারে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনাগুলো খুব কাছ থেকে অনুসরণ করছে।’
অন্যদিকে ইসরাইল, ইরান ও লেবাননে ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে বিবৃতি দিয়েছে স্লোভেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। লেবাননে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তুলে ধরে এবং বর্তমানে সেখানে থানা স্লোভেনীয় নাগরিকদের অবিলম্বে বৈরুত ছাড়তে বলেছে দেশটি।
ফিলিস্তিনের গাজা যুদ্ধে ৩০০ দিন ছাড়িয়েছে। শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩৯ হাজার ৪৮০। একই সময়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে ৫৯৪ জন। সব মিলিয়ে বিগত ৩০০ দিনে ফিলিস্তিনে ৪০ হাজার ৭৪ জনকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরাইল।
যুদ্ধ বিরতির আলোচনার মধ্যে হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকর হত্যাকান্ডের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বাঁধতে পারে মনে করছে বিশ্লেষকরা।