জানা যায়, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের খুলশির বাসা থেকে একরামুল করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৭টায় তাকে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১নং আমলি আদালতে হাজির করা হয়। পরে সুধারাম মডেল থানার একটি হত্যা মামলায় একরামুল করিম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ হোসেন।
নোয়াখালী জেলা কোর্ট পরিদর্শক শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সাবেক এমপি একরামুলের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর সুধারাম থানায় একটি হত্যা মামলা, একটি বিস্ফোরক ও অপহরণ মামলা, কবিরহাট থানায় একটি অস্ত্র মামলা ও সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলাসহ মোট চারটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার একটি থানায়ও তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
কোর্ট পরিদর্শক আরও বলেন, ২০১৩ সালে শ্রমিক দলের কর্মী মো. খোকনকে (২৫) গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। এতে একরামুল করিমসহ ৫৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ সকালে সেই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১নং আমলি আদালতে হাজির করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
নোয়াখালী জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. গোলাম দস্তগীর বলেন, সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী কারাগারে প্রবেশ করেন। তাকে ধুমপানমুক্ত ওয়ার্ডে স্থান দেওয়া হয়েছে। সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি ডিভিশন পান, তবে সে ধরনের কাগজপত্র আমরা পাইনি। যদি পাই তাহলে স্থান পরিবর্তন করা হবে।
প্রসঙ্গত, নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এছাড়াও টানা ১৭ বছর ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কিছুদিন আগেও তার কথার বাইরে এলাকায় কিছুই হতো না। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। নোয়াখালীর রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন একরামুল। ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন দলের অন্য নেতারা।