এর ফলে আগামী জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ৬৭ বছর বয়সী সুসি হবেন হোয়াইট হাউসের প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) গুরুত্বপূর্ণ এই পদে সুসি উইলসের নাম ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
গত ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সুসি ছিলেন ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবিরের দুই ম্যানেজারের একজন। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এর মাধ্যমে দেশটির প্রায় আড়াইশো বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এক মেয়াদের বিরতিতে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে ফিরতে চলেছেন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
অবশ্য নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জিতলেও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি। তবে এর আগেই নিজের প্রশাসন সাজাবেন তিনি। আর এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে সুসি উইলসের নাম ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
সংবাদমাধ্যম বলছে, সদ্য সমাপ্ত এই নির্বাচনে অত্যন্ত শৃঙ্খলাপূর্ণ এবং দারুণ পরিকল্পিত নির্বাচনী প্রচারণার জন্য সুসি উইলসকে প্রশংসা করা হয়। বিশেষ করে ট্রাম্পের নিজস্ব লোকজনের ভেতরে ও বাইরে তার প্রশংসা শোনা যায়। আর তখনই মনে করা হচ্ছিল তিনি এই পদের জন্য হয়তো বা সামনের সারিতে আছেন।
সুসি উইলস সাধারণত লোকচক্ষুর সামনে আসা পরিহার করে এসেছেন এবং এমনকি নির্বাচনে জয়ের খবরে ট্রাম্প যখন তার বিজয় উৎসব পালন করছিলেন, তখনও তিনি মাইকের সামনে আসতে চাননি।
এদিকে সুসি উইলসকে এই পদে নিযুক্ত করাটা নবনির্বাচিতক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, এছাড়া নিজের আসন্ন প্রশাসনের জন্য একইসঙ্গে বড় রকমের পরীক্ষাও। কারণ বিশাল এই ফেডারেল সরকার পরিচালনার জন্য ট্রাম্পকে দ্রুতই প্রশাসনিক টিম গঠন করতে হবে।
তবে এই পদে দায়িত্বপালনের জন্য উইলসের কোনও সরকারি অভিজ্ঞতা নেই। যদিও তার সঙ্গে নবনির্বাচিত এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
মূলত সুসি উইলস যা করতে পেরেছেন তেমনটি খুব কম লোকই পারেন। আর তা হলো— তিনি ট্রাম্পের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করেছেন।
ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, “সুসি কঠোর, স্মার্ট ও সৃজনশীল ব্যক্তি যিনি সব জায়গায় প্রশংসিত ও সম্মানিত। সুসি ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাবেন”।
তিনি আরও বলেন, “তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ করাটা আসলে তার অর্জিত সম্মান। আমার মনে কোনও সন্দেহ নেই যে— তিনি আমাদের দেশকে গর্বিত করবেন”।