ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে—এমন অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালত (ICJ)-এ ৪০টি রাষ্ট্রের বক্তব্য শুনেছে। অধিকাংশ দেশ ইসরায়েলের নীতি ও কার্যক্রমের কড়া সমালোচনা করেছে এবং দাবি করেছে, ইসরায়েলকে দখলকৃত অঞ্চলে ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করতেই হবে।
🌐 আন্তর্জাতিক ডেস্ক | NarailKantho.com | সত্যের সাথে ২৪ ঘন্টা : গাজায় চলমান মানবিক সংকটের প্রেক্ষিতে ইসরায়েল জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে—এ অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) এক ঐতিহাসিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশ এই শুনানিতে অংশ নিয়ে ইসরায়েলের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছে।
📌 শুনানির মূল বিষয়বস্তু: ২ মে, ICJ-এ গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের ওপর ইসরায়েলের বাধা নিয়ে শেষ হলো পাঁচ দিনের শুনানি। চীন, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, রাশিয়া, যুক্তরাজ্যসহ অধিকাংশ রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আইন বিশেষজ্ঞ জুলিয়েট ম্যাকটাইর বলেন, "প্রায় সব দেশই একমত যে, ইসরায়েলের উচিত দখলকৃত এলাকায় খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করা এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করা।"
🛑 ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া: ইসরায়েল এই শুনানিকে “সার্কাস” বলে অভিহিত করেছে এবং আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাদের মতে, তারা জাতিসংঘ ও মানবিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করতে বাধ্য নয় এবং আত্মরক্ষার অধিকার তাদের প্রথম অগ্রাধিকার।
🇺🇸 যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা: যুক্তরাষ্ট্র শুনানিতে ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে এবং পরিস্থিতির বাস্তবতা উপেক্ষা করে শুধু আন্তর্জাতিক আইন মানার পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ছিল আইনের ফাঁক দিয়ে দায় এড়ানোর কৌশল।
📉 আদালতের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত: বিশ্লেষকদের মতে, আদালত আগামী কয়েক মাসে একটি সাধারণ, অ-বাধ্যতামূলক পরামর্শমূলক রায় দেবে। কিন্তু ইসরায়েল পূর্বেও ICJ-এর নির্দেশনা অমান্য করেছে। ফলে বাস্তব পরিবর্তনের জন্য রাষ্ট্রসমূহের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ ছাড়া সমাধান অসম্ভব।
📣 উপসংহার: মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই পরিস্থিতিতে আদালতের রায় অপেক্ষার চেয়ে জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় রাজনৈতিক পদক্ষেপ।
#ICJ #GazaCrisis #IsraelObstruction #মানবিকত্রাণ #NarailKantho 📰 NarailKantho.com | সত্যের সাথে ২৪ ঘন্টা
