বিএলইউ-১০৯ নামের এই ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমাগুলো শক্ত কাঠামো ছেদ করতে সক্ষম। শক্ত কাঠামো ছেদ করার পর এটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে নাম গোপন রাখার শর্তে এক সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে এ ধরনের ১০০টি বোমা দিয়েছে।
এই বোমা ৯০০ কেজির ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। এসব বোমা এর আগে আফগানিস্তানে ব্যবহার করেছিল মার্কিন সেনারা।
তবে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র এই বোমাই দেয়নি সঙ্গে আরও শক্তিশালী ও আধুনিক মারণাস্ত্র দিয়েছে। যেগুলোর আঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে শিশুই হলো ৬ হাজার ১১৫ জন।
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলকে নিয়মিত অস্ত্র সরবরাহ করে আসলেও; সেগুলোর তথ্য গোপন রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলের নিন্দা জানানোয় তারা চুপিচুপি ইসরায়েলের কাছে বোমা পৌঁছে দিচ্ছে।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে গাজায় ব্যবহারের জন্য ১৫ হাজার বোমা এবং ১৫৫ মিলিমিটারের ৫৭ হাজার শেল পাঠিয়েছে। যেগুলো সি-১৭ মিলিটারি কার্গো বিমানে করে ইসরায়েলে পৌঁছে দিয়েছে মার্কিনিরা।
ইসরায়েলে পাঠানো ১৫ হাজার বোমার মধ্যে রয়েছে ৫ হাজার এমকে৮২ বোমা, ৫ হাজার ৪০০ এমকে৮৪ বোমা, প্রায় এক হাজার জিবিউ-৩৯ স্মল-ডায়ামিটার বোমা এবং প্রায় তিন হাজার জেডিএএমস।
প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে কয়েক বিলিয়ন ডলার সাহায্য করে থাকে। হামাসের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য যেসব বোমা দেওয়া হয়েছে সেগুলো এ সাহায্যের বাইরে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো বোমা দিয়ে গাজায় সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলাগুলো চালানো হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের একটি ভবনে ভয়াবহ হামলা। ওই হামলায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন। ইসরায়েল দাবি করেছিল এটি ন্যায়সঙ্গত হামলা ছিল। কারণ এতে হামাসের এক কমান্ডার নিহত হয়েছিলেন।
সূত্র: ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল